ট্রেনে বসেই অবাধ সুরাপানের সুযোগ! মিলবে পছন্দের খাবারও, টিকিটের দাম কত জানেন?

ট্রেনে সফর করে ঘুরতে যেতে অধিকাংশেরই ভাল লাগে। আর সেই সফর যদি ভারতের এমন জায়গাগুলির উদ্দেশে হয়, যার পরতে পরতে রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ , তা হলে তো কথাই নেই। মহারাজা এক্সপ্রেসে সফর করলে ভ্রমণপিপাসুদের মন ভরতে বাধ্য।

ভারতের দামি টিকিটের নিরিখে বিচার করলে এই এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম তালিকায় সবার প্রথমে আসে।
২০১০ সালের মার্চ মাসে মোট ৮৬ জন যাত্রী নিয়ে মহারাজা এক্সপ্রেস তার প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। মুম্বই এবং দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে এই ট্রেনটি রাজস্থানের যোধপুর, বিকানেরের মতো বিভিন্ন জায়গায় সফর করে।

কেন মহারাজা এক্সপ্রেস অন্যদের থেকে আলাদা –

মহারাজা এক্সপ্রেস ট্রেনে একসঙ্গে ৮৮ জন যাত্রী সফর করতে পারে। যাত্রীদের থাকার জন্য ৪ ধরনের রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি রুমের সাজসজ্জায় রাজকীয় ভাব ধরা পড়ে।
‘ডিলাক্স কেবিন’, ‘স্যুট’, ‘জুনিয়র স্যুট’ এবং ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’ নামে ৪ ধরনের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কুপ রয়েছে মহারাজা এক্সপ্রেসে। আয়তন এবং প্রাপ্ত সুবিধা অনুযায়ী টিকিটের মূল্য আলাদা হয়। টিকিটের দাম শুরু হয় ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা থেকে। ভারতীয় মুদ্রায় টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ১৯ লক্ষ টাকা।
প্রতিটি কুপে রয়েছে মাস্টার বেডরুম, বাথরুম, আলাদা করে বসার জায়গা, মিনি বার ইত্যাদি। যাত্রীদের খেয়াল রাখার জন্য রুমপ্রতি ১ জন কর্মীকে রাখা হয়। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্মোক অ্যালার্মেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
মোট ২০টি ‘ডিলাক্স কেবিন’, ১৮টি ‘জুনিয়র স্যুট’, ৪টি ‘স্যুট’ এবং ১টি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’ রয়েছে মহারাজা এক্সপ্রেস ট্রেনে। ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’-এর নাম ‘নবরত্ন’।
মহারাজা এক্সপ্রেসে মোট ১৪টি গেস্ট ক্যারেজ রয়েছে। এই ক্যারেজগুলির নামেও চমক রয়েছে। ‘মোতি’, ‘মানিক’, ‘হীরা’, ‘পান্না’, ‘নীলম’ প্রভৃতি মণিমুক্তোর নামে ক্যারেজগুলির নামকরণ করা হয়েছে।
শুধু খাবারের ক্ষেত্রেই নয়, ওয়াইন, বিয়ার-সহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায় মহারাজা এক্সপ্রেসে। ‘রাজাহ্ ক্লাব’ এবং ‘সাফারি ক্লাব’ নামে দু’টি লাউঞ্জ বার রয়েছে এই ট্রেনে। যাত্রীরা এই লাউঞ্জগুলিতে বসে সুরাপানও করতে পারেন।

Previous article“পুনর্বাসন ছাড়া রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ মানা হবে না”, শাহকে স্পষ্ট বার্তা মমতার
Next articleউত্তরবঙ্গের আকশপথে কড়া নজরদারি! চিনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ রুখতে হাসিমারায় পৌঁছল রাফাল