Saturday, November 22, 2025

যা কিছু শুভ! বিশ্ব জয়ের পর গোলপোস্টের নেট কেন পোড়ালেন মেসিরা?

Date:

Share post:

দীর্ঘ ৩৬ বছর অপেক্ষার অবসান। কাতার বিশ্বকাপে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবলে
নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন মেসিরা। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে অনেক কিছু নতুনের পর আরও একটি নজরকাড়া ঘটনা ঘটিয়েছেন মেসিরা। যা কারও নজর এড়ায়নি।

ম্যাচের পরে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা গোলপোস্টের জাল কেটে পুড়িয়ে সঙ্গে নিয়ে গেলেন। ম্যাচের শেষে যে পোস্ট থেকে টাই-ব্রেকার জিতেছিল আর্জেন্টিনা, সেই দিকের পোস্টের জাল কেটে পুড়িয়ে সঙ্গে নিয়েছেন মেসিরা। যা এককথায় অভিনব সেলিব্রেশন।

কিন্তু কেন এমন করলেন মেসিরা? আসলে আর্জেন্টিনীয়রা একটু কুসংসস্কারাচ্ছন্ন। অবশ্য একে ”কুসংস্কার” বলে দাগিয়ে না দিয়ে সংস্কার বলা উচিত। আর্জেন্টিনীয়রা কিছু সংস্কার মেনে চলেন। তাঁদের বিশ্বাস, যে কোন ক্ষেত্রেই যেটা দিয়ে শুভ কোনও কিছুর উদযাপন হবে, উদযাপন শেষে সেটা পুড়িয়ে তার ছাইটা সঙ্গে রাখা। এটা নাকি ওঁদের পক্ষে আদ্যন্ত ভালো, শুভকর। গতকাল, রবিবারও সেটা হয়েছে। গতকাল টাই-ব্রেকারের সময়ে যেদিকের গোলপোস্টে মার্টিনেজ ফ্রান্সের মারা পেনাল্টি শট সেভ করেছিলেন, সেই দিকের জালই মেসিরা ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছেন। এটা নিয়ে ফিফা ট্যুইটও করে।

যেহেতু এই গোল সেভ-ই ওঁদের ফাইনালে জেতায় তাই আর্জেন্টিনীয় ফুটবলাররা মনে করেছেন, এই পোস্টের জাল পুড়িয়ে সেই ছাই সঙ্গে রাখাটা তাঁদের সংস্কারের পক্ষে উপযুক্ত হবে। তাই যা কিছু শুভ, সেটাই করেছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেসিরা।

আরও পড়ুন:ফাইনালে হারের হতাশার জেরে ফ্রান্সের রাস্তায় বিশৃঙ্খলা, নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ পুলিশের

 

spot_img

Related articles

রিল-রিয়েল একাকার! ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-এ থানায় ছুটলেন মদন

একেই বোধহয় বলে, "ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে"। "দাদা একটু আসুন, আপনি না এলে হবে না", "আমার নির্দোষ...

প্রিমিয়ারেই জমজমাট গৃহকর্মীদের রোজনামচার ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী ওঁরা রোজ আসেন, রোজ কাজ করেন, সমস্ত রকম নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পরিষেবা দেন। কিন্তু ওঁদের নিয়ে গল্প...

টেকনিশিয়ানদের টাকা বাকি রেখে কুৎসা রটাচ্ছেন রুদ্রনীল! তথ্য দিয়ে ধুয়ে দিলেন স্বরূপ

নিজে টাকা বাকি রেখে উল্টে ফেডারেশনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)! শুক্রবার সাংবাদিক...

কাজের চাপে শীতলকুচিতে মর্মান্তিক মৃত্যু বিএলও-র! পরিবারের পাশে রাজ্য

অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই...