তাওয়াং ইস্যুতে আলোচনায় নারাজ কেন্দ্র! কংগ্রেসের নেতৃত্বে সংসদে বিক্ষোভ বিরোধীদের

বিরোধীদের এদিনের কর্মসূচীতে যোগ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বিদেশ নীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না দল।

তাওয়াং (Tawang) ইস্যুতে উত্তপ্ত দেশ। ইতিমধ্যে চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)। বুধবার সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেস (Congress) সহ একাধিক দলের সাংসদরা। কিন্তু বিরোধীদের এদিনের কর্মসূচীতে যোগ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বুধবার ১২টি বিরোধী দলের সাংসদরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায়। তবে তৃণমূলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বিদেশ নীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না দল। পাশাপাশি এদিন বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা (Loksabha)।

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এদিন চিনা আগ্রাসন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদরা। এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) বলেন, সমস্ত রকমের গম্ভীর বিষয়গুলিতেই নিশ্চুপ হয়ে যায় সরকার। এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সংসদে কিছুতেই চিনা হামলা নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে না বিজেপি (BJP)। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বারবার চিনা আগ্রাসন অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। আমাদের সেনাদের কুর্নিশ জানাই। তাঁরা যেভাবে সীমান্ত এলাকায় লালফৌজের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু, সত্য ঘটনা কিছুতেই প্রকাশ্যে আনছে না ভারত সরকার। কংগ্রেসের নেতৃত্বে মোট ১২ টি বিরোধী দল এই ধর্ণায় বুধবার যোগ দেয়।

এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। রাহুলের অভিযোগ, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন সরকার ঘুমিয়ে আছে। শুধুমাত্র অনুপ্রবেশই নয়, ভারতে হামলার সবরকম ছক সাজিয়ে ফেলেছে চিন। তা সত্ত্বেও কেন বিষয়টি লুকনো হচ্ছে? অন্যদিকে, সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Sashi Tharoor) বলেন, আমরা কখনই সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি। আমরা কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। আমরা চাই চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্র সবটা স্পষ্ট করুক।