ফাঁকা কলসীর আওয়াজ বেশি। বেশ কয়েক মাস ধরে হাওয়া গরম করছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিসেম্বরে নাকি বড় কিছু হতে চলেছে। শুভেন্দুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরাও মাঝে মধ্যেই ডিসেম্বর ধামকার কথা শুনিয়েছেন। কিন্তু সুকান্ত-দিলীপ আগেভাগেই ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে ডিগবাজি খেয়েছিলেন। বরং, গোটা বিষয়টি শুভেন্দুর ঘাড়ে চাপিয়ে ছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, শুভেদুর ১২,১৪ আর ২১ তারিখের ডেটলাইন আজই শেষ হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বরের এই তিনটি দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, নজর রাখতে হবে। বড় কিছু ঘটবে। কিন্তু বুধবার আচমকাই কাঁথিতে নিজের পাড়ায় দাঁড়িয়ে সুরবদল করেছেন বিরোধী দলনেতা।

কিছুটা বিপাকে এদিন বিজেপির সভা থেকে তাঁর বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বলে মন্তব্য করেছেন। সেই নিয়ে শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। শুভেন্দুর হুঁশিয়ারিতে কিছু যায় আসে না বলেই এ বার কার্যত মন্তব্য করলেন তিনি।
ডিসেম্বর ‘ডেডলাইন’ নিয়ে আচমকা সুরবদল শুভেন্দুর সুর বদলের পর তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মদন। নিজের স্টাইলে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “শুভেন্দু যেই ডেডলাইন দিল, সঙ্গে সঙ্গে কেরলে আমেরিকার নৌবহর, কাতার-আমেরিকার নৌবহর, বিভিন্ন দেশের নৌবহর, এমনকি পুতিন-জেলেনস্কি থমকে গিয়েছিলেন। শুভেন্দুর ডেডলাইন বলে কথা! আসলে শুভেন্দু বুঝতে পারেনি, ডেটলাইন বলতে গিয়ে কখন ও নিজের ডেডলাইন ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে। ওর অফলাইন হয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। বোধহয় শুভেন্দু জানুয়ারিতেই চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।”

গত কয়েক মাসে একাধিক বার বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের মুখে ডিসেম্বর ‘ডেডলাইন’ শোনা গিয়েছে। দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বোপরি শুভেন্দু, ডিসেম্বরে রাজ্যে পালাবদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের উদাহরণও টানতে শোনা গিয়েছে টানতে শোনা গিয়েছে তাঁদের। এমনকি নির্দিষ্ট দিনও বেঁধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই দিন এলেও, বড় ধরনের কিছু ঘটেনি। তাতে বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- ২০২০ সালে কতজন ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীর আত্মহ*ত্যা? অভিষেকের প্রশ্নের জবাব নেই কেন্দ্রের কাছে
