প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হোম স্টেট। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের গর্বের রাজ্য। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার। গুজরাত মডেল। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কি তাই? আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে। যেখানে মেয়ের সম্মানরক্ষা করতে গিয়ে খুন হতে হয় বাবাকে। সেই বাবা আবার একজন বিএসএফ জওয়ান। সেই জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়।

এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজের মেয়ের আপত্তিকর মুহূর্তের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার প্রতিবাদ করেছিলেন মেলজিভাই বাঘেলা নামে ওই বিএসএফ কর্মী। এর জেরে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বিএসএফ জওয়ান গুজরাতের নাদিয়াদ এলাকার চাকলাসি গ্রামের বাসিন্দা। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। মেয়ের এক সহপাঠীর বাড়িতে গিয়ে আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে পোস্টের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এরপর ১৫ বছরের কিশোরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, ওই কিশোর এবং তার পরিবারের লোকজন ঘিরে ধরে বিএসএফ জওয়ানকে মারধর করে। পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় তাঁকে। এই খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। যদি কেউ দোষীও হয়, তার বিচার আইনে হওয়া উচিত। আসলে এটা বিজেপির ভিতর থেকে আসা হিংস্রতা। একেবারে নিন্দনীয় ঘটনা। বিজেপির হিংসাত্মক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

কুণালের আরও সংযোজন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্য, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য। কথায় কথায় গুজরাত মডেল। আসলে অসহিষ্ণুতা, পিটিয়ে মারা, উগ্রতা, এগুলোই গুজরাট মডেল।
এর আগে মধ্যপ্রদেশে কৈলাস বিজয়বর্গীর ছেলে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে ছিল পুরসভার কর্মীকে। এগুলো আসলে ওদের সংস্কৃতি। কথায় কথায় দিলীপবাবু বলেন মারবো ধরবো। এগুলো ঠিক নয়।
