“এক ডাকে অভিষেক”-এ অভিযোগ, দুর্নীতি প্রমাণ হওয়া পঞ্চায়েত প্রধানের ইস্তফা

পূর্ব মেদিনীপুরের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এসকে সেলিম আলিকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগ দলীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়

দুর্নীতির সঙ্গে কোনওরকমের আপোস নয়। দুর্নীতির প্রশ্নে দল যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলবে তা একের পর এক সিদ্ধান্তে স্পষ্ট করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত প্রধানের নামে “এক ডাকে অভিষেক” হেল্পলাইনে অভিযোগ জমা পড়েছিল। দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখে সেই অভিযোগের প্রমাণ মিলতেই প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এসকে সেলিম আলিকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগ দলীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। এরপরই বেশি রাতের দিকে দলের নির্দেশ মেনে বিডিও-এর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুরের শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এসকে সেলিম আলি।


আরও পড়ুন:এ বার শুভেন্দুর পাড়া থেকেই ‘এক ডাকে অভিষেক’ চালু

গত ৩ ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরেরই কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় “এক ডাকে অভিষেক” হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে জানানো সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল বলে তৃণমূলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ওই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতেই তাঁকে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তৃণমূল।

“এক ডাকে অভিষেক” হেল্প লাইনে অভিযোগ জমা পড়ার পরেই দলের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় বলেই দলের দাবি। বেনামে তাঁর বিরুদ্ধে ৬০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তথ্য হাতে আসার পরই এক মুহূর্ত দেরি না করে সেলিমকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।

Previous articleনজরে বিধানসভা ভোট, জানুয়ারিতে ত্রিপুরা সফরে যেতে পারেন মমতা-অভিষেক
Next articleভয়ঙ্কর নয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট, কোভিড নিয়ে গুজব না ছড়ানোর বার্তা আইসিএমআরের