প্রয়াত ফুটবলের রাজপুত্র, যুবভারতীতে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অরূপ বিশ্বাস

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অরূপ বিশ্বাস গোটা ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন ,"পেলের মতো ফুটবলার আর আসবে না। পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হলেন পেলে।" যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সব ফুটবল ক্লাবের কর্তারা।

খেলার জগতে নক্ষত্র পতন হয়েছিল মধ্যরাতে। তারার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ফুটবলের সম্রাট পেলে (Pele)। যে কিংবদন্তি নিজের স্কিলের ঝলকানিতে ফুটবলকে (Football) রঙিন ও বর্ণময় করে তুলেছিলেন আজ তাঁর সাদাকালো ছবি সত্যিই মেনে নিতে পারছেন না ক্রীড়াপ্রেমী মানুষেরা (Football Lovers)। শুক্রবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Vivekananda Yuva Bharati Stadium) পেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানানর ব্যবস্থা করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) ক্রীড়া বিভাগ ও যুবকল্যাণ দফতরের (Sports and Youth Affairs Department)তরফ থেকে। গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)।

আজ গোটা বিশ্ব কাঁদছে। শেষ লগ্নেও মন খারাপের সুর। চলে গেলেন পেলে। ২০২২ এর বিদায় তালিকায় সংযুক্ত হল আরও এক নাম। এ যেন এক মহাকাব্যের নায়কের উপাখ্যান শেষ হল। পেলের বয়স যখন মাত্র ১৫, তখন ব্রাজিলের ক্লাব স্যান্টোসে যোগ দিয়েছিলেন। যে ক্লাবে ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন, জিতেছিলেন সব ট্রফি।মাত্র ১৭ বছরেই ব্রাজিলের জার্সিতে ফুটবল বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। কলকাতার সঙ্গেও তাঁর অন্তরের টান। ১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগানের একটি প্রদর্শনী খেলেছিলেন ফুটবলের সম্রাট। নিজের কেরিয়ারের একেবারে শেষলগ্নে কসমস ক্লাবের এশিয়া সফরের অঙ্গ হিসেবে কলকাতায় এসেছিলেন। তিনবার বিশ্বকাপজয়ীর একঝলক দেখতে ভেঙে পড়েছিল কলকাতা। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ফের কলকাতার মাটিতে পা পড়েছিল পেলের। প্রায় সপ্তাহ খানেকের সফরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসে আইএসএলে অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের ম্যাচ দেখেছিলেন। সেই স্মৃতিচারণায় ফিরে গেলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অরূপ বিশ্বাস গোটা ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন ,”পেলের মতো ফুটবলার আর আসবে না। পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হলেন পেলে।” যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সব ফুটবল ক্লাবের কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরী সমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার, এটিকে মোহনবাগান বোর্ডের অন্যতম সদস্য দেবাশিস দত্ত সহ অনেকেই হাজির ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান ক্লাবের তরফ থেকে পেলের ছবির কাছে ক্লাবের পতাকা রাখা হয়। বেঙ্গল অলিম্পিয়াডের তরফ থেকেও প্রণাম জানান হয়। উপস্থিত ছিল বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন ফুটবল আর বাঙালির টান নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই ক্ষতি অপূরণীয়। কলকাতা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের (Calcutta Sports Journalist Club) তরফ থেকেও এদিন মাল্যদান করা হয় পেলের ছবিতে।

 

Previous articleদেশে বিক্রি হচ্ছে একাধিক নকল ওষুধ, সতর্কতা জারি করল ডিসিজিআই
Next articleBagnan Case: রিয়া খু*নে নয়া মোড়! পুলিশি হেফাজতে দেওর