বিলকিস কাণ্ডে নয়া মোড়! আচমকাই মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি ত্রিবেদী

বুধবার শুনানি শুরু হতেই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অজয়কুমার রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না। তারপর তিনি নির্দেশ দেন, মামলাটি এমন কোনও বেঞ্চের তালিকাভুক্ত করা হোক যেখানে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ থাকবেন না।

বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। বুধবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠলে তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বেঞ্চে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগী। বিচারপতি ত্রিবেদী সরে যাওয়ার পর এবার নতুন করে বেঞ্চ গঠন করে তারপর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই মামলাটি শোনা হবে।

উল্লেখ্য, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), সিপিএম নেত্রী সুহাষিনী আলি (Suhashini Ali), সাংবাদিক রেবতী লউল (Rebati Lawl), লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মারা (Rooprekha Verma)। দেশের শীর্ষ আদালত সেই সময় মামলাটি গ্রহণ করলেও বুধবার ঘটনা অন্য মোড় নিল। এবার মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন খোদ বিচারপতি। তবে বিচারপতির আচমকা এমন সিদ্ধান্তকে সোজাভাবে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। এর পিছনে গেরুয়া ষড়যন্ত্র প্রকট বলেই ধারণা অনেকের। এদিকে বুধবার শুনানি শুরু হতেই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অজয়কুমার রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না। তারপর তিনি নির্দেশ দেন, মামলাটি এমন কোনও বেঞ্চের তালিকাভুক্ত করা হোক যেখানে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ থাকবেন না। উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর ১১ জন ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিলকিস আর্জি জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে। প্রথমে সেই বেঞ্চেও ছিলেন বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি রাস্তোগী। কিন্তু ত্রিবেদী পরে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন।

এদিকে গত ১৫ অগাস্ট বিলকিস বানো কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। তার আগে, মে মাসে মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাট সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি পরিচালিত গুজরাট সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পায়।

 

 

Previous articleপ্রতিবাদের কণ্ঠরোধে গুজরাট পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা, বিলে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির
Next articleদলীয় নেতৃত্বের উল্টো সুর সুভাষের, বন্দে ভারতে হামলার সিআইডি তদন্তের দাবি