Thursday, August 28, 2025

‘গোটা বিশ্ব আমাদের মাতৃভূমি’, G-20 সামিটের উদ্বোধনে বাংলার সাফল্য তুলে ধরলেন মমতা

Date:

কলকাতায় শুরু হয়ে গেল জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই সামিটের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি-২০ দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি বিভেদ করি না। গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি। আপনারা যখন এখানে এসেছেন, তখন এই বাংলা আপনারও। এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে, এই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।”

আরও পড়ুন:জি-২০ উপলক্ষে সেজে উঠেছে তিলোত্তমা, ব্রিজ থেকে বন্দর সর্বত্র রঙের ছটা

রাজ্য সরকারের একাধিক সাফল্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  “কোভিড কালের ২ বছরে সব দেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আমাদের রাজ্যও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদের রাজ্যের GDP বেড়েছে ৪ গুণ।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনা কালে আমরা ১.২ কোটি চাকরির ব্যবস্থা করতে পেরেছি। কারণ, আমরা কৃষক, মহিলাদের এসময়ে আরও আর্থিক ভাবে শক্তিশালী করতে পেরেছি। MSME সেক্টরে আমরা রয়েছি সারা দেশে ১ নম্বরে। এই সেক্টরের জন্যই এই বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।”

যেহেতু এদিনের আলোচ্য বিষয় মূলত অর্থনীতি, তাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে প্রথমেই উঠে আসে এ রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ।  রাজস্ব বৃদ্ধি থেকে শুরু করে জিডিপির হার বৃদ্ধি, করোনাকালে অর্থনৈতিক সচলতা বজায় রাখা-সহ একাধিক বিষয় সম্পর্কে ভাষণে বিস্তারিত বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বাংলার বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।  নারীশিক্ষায় রাজ্য সরকারের উল্লেখযোগ্য প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’  আগেই বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার। সে কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ঘরে ঘরে জনপরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’  প্রকল্প পেয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জনতার উন্নয়নই যে তাঁর সরকারের একমাত্র লক্ষ্য, জি-২০ সম্মেলনের অতিথিদের কাছে তা স্পষ্ট করে তুলে ধরেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ভারত আয়োজিত করছে জি-২০ সামিট। এই উপলক্ষে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আজ সোমবার থেকে ১১ তারিখ বুধবার— তিনদিন চলবে বৈঠক। ধারে ও ভারে এমন বৈঠক সাম্প্রতিককালে হয়নি রাজ্যে। ফলে আয়োজন জমকালো করতে কোনও কসুর রাখতে নারাজ রাজ্য সরকার।

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version