রাজ্য জুড়ে শুরু ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি, জনসংযোগ শুরু করেছেন ‘দিদির দূত’রা

আজ বুধবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণা মতো রাজ্যব্যাপী শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। সেই কর্মসূচির শুরুতে এদিন এক ভিডিও বার্তা দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তায় তিনি বলেন, আগামী ২ মাস দলের প্রায় সাড়ে তিনশো নেতা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের ঘোষিত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ খবর নেবেন। দিদির দূত অ্যাপে সেই তথ্য আপলোড করা হবে। সে জন্য সবাইকে ‘দিদির দূত’ অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আপনার মোবাইল ফোনটিকেই এবার হাতিয়ার করে তুলুন। এরই মধ্যে বুধবার থেকে গোটা রাজ্যে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্পে জনসংযোগ শুরু করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।

‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ‘দিদির দূত’রা। মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া জেলার ৪৪টি ব্লকে নেতা-নেত্রীরা যাচ্ছেন ।

ভবানীপুরে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলের রাজ‌্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন, ‘‘দলীয় নির্দেশ মেনে সাংসদ-বিধায়করা বিভিন্ন ব্লকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পৌঁছবেন। ২ কোটি পরিবারের কাছে দলের সাড়ে তিন কোটি কর্মীরা পৌঁছে দলমত নির্বিশেষে সরকারি পরিষেবা পাওয়া নিয়ে অভিজ্ঞতা জেনে দলকেই ‘ফিডব‌্যাক’ দেবেন।’’ ভবানীপুরের লেডিস পার্কে এদিন তৃণমূলের ‘সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সি, মেয়র তথা ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সাংসদ মালা রায় ছাড়াও বিধানসভা কেন্দ্রের কাউন্সিলররা।

দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘নজরুল মঞ্চে যে দিন নেত্রী এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন, সে দিনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নিজেও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সময়-সুযোগ বুঝে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বাকি কর্মসূচির জন্য তো আমরা রয়েইছি।’’ মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ বলেও একটি অংশ রয়েছে। সেই ‘দূত’ হচ্ছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি যেমন পালন করার করবেন। বাকি ক্ষেত্রে আমরা তাঁর দূত হিসাবে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন‌্য দলীয় কর্মসূচি পালন করব।’’

সাংসদ মালা রায় দাবি করেন, ‘‘দেশের কোনও রাজনৈতিক দল এর আগে এমন কোনও কর্মসূচি নেয়নি যা সেই রাজ্যের সমস্ত মানুষকে ছুঁয়ে যাবে। বাংলার ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে মুখ‌্যমন্ত্রীর ১৫টি প্রকল্প পৌঁছে দিতে এটা নেত্রীর অভিনব প্রয়াস।’’

তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় ১০টি, নদিয়ায় ৫, হাওড়ার ৮ জায়গায়, হুগলির ৯ জায়গায়, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ জায়গায়, পূর্ব বর্ধমানের ৫ জায়গায় ‘সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে জনতার দুয়ারে গিয়েছেন দূতরা। তালিকায় রয়েছেন ২৩ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ, ৯ জেলা তৃণমূল সভাপতি ও ৭ জেলার চেয়ারম্যান। সঙ্গে থাকছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ-সহ ৩ জন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৫ জন। ১ জন জেলা মহিলা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।

আরও পড়ুন- আসানসোলে জমজমাট ‘প্রত্যয়ী’র চারদিনব্যাপী নাট্যোৎসব

 

Previous articleআসানসোলে জমজমাট ‘প্রত্যয়ী’র চারদিনব্যাপী নাট্যোৎসব
Next article‘হোমিওজ্যোতি’ এবং ‘হোমিওরত্ন’ সম্মাননা দেবে বিএইচসিডিএ