তিন বছর ধরেই জোশীমঠ ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছিল, সমীক্ষার ফল দেখেও পাত্তা দেয়নি মোদি সরকার

২০২০ সাল থেকেই আঁচ মিলেছিল।সমীক্ষায় ধরাও পড়েছিল বছর তিনেক আগেই।রিপোর্ট বলছে, গঢ়ওয়াল হিমালয়ের জোশীমঠ এবং সংলগ্ন এলাকা ধীরে ধীরে মাটির তলায় তলিয়ে যাওয়ার হার বছরে প্রায় আড়াই ইঞ্চি (সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার) । যা রীতিমত ভয়ের।

আরও পড়ুন:এনটিপিসি-র জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জেরেই ধ্বংসের মুখে জোশীমঠ!

মঙ্গলবার দেরাদুনের সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং একটি সমীক্ষা প্রকাশ্যে আনে।একসঙ্গে এই সমীক্ষা বহু প্রশ্নও তুলে ধরেছে।নরেন্দ্র মোদি সরকার ওই দিন এই সমীক্ষার প্রাথমিক ফল দেখে তৎপর হলে আজকের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হত না বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।

২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণ করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ওই সময় জোশীমঠ ও আশপাশের এলাকার পাহাড়ে অনেক ফাটল দেখা গিয়েছিল।

কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রীয় সংস্থা এনটিপিসির তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ বন্ধ করা হয়নি। বন্ধ করা হয়নি পাহাড়ের অন্দরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার কাজ।

অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের চারধাম প্রকল্পে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজও চলেছে সমান তালে। আর তারই পরিণতিতে আজ বিপর্যয়ের মুখে বদ্রীধামের প্রবেশদ্বার! আশ্রয়হীন বহু মানুষ।

 

Previous articleToday’s market price : আজকের বাজারদর
Next articleপেঁয়াজ ২৫০, আটা ১৬০, রান্নার গ্যাস ১০ হাজার! শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান