বাস্তবের চরিত্ররাই উঠে আসে লেখায়: ‘গল্পের জন্মকথা’-য় জানালেন বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা

‘একটি গল্পের জন্মকথা।’ বাংলা অ্যাকাডেমিতে আলোচনা। শেখর বসুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গল্প তৈরির নেপথ্য কাহিনীর কথা জানালেন জয়ন্ত দে, কুণাল ঘোষ, বিশ্বদীপ দে, গৌর বৈরাগী, শুভময় সরকার প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ের সেরা লেখক প্রচেত গুপ্ত।

সাহিত্যিক জয়ন্ত দে জানান, তাঁর গল্পের চরিত্রগুলোর সঙ্গে বাস্তবের চরিত্রের অনেক সময় মিল পাওয়া যায়।জীবনের নান টানা পোড়েনের ওঠাপড়া অনেক সময়েই গল্পের জন্ম দেয়।আবার অনেক সময় গল্পের চরিত্র নিজের মতো করে গড়ে ওঠে।

সাংবাদিক তথা সাহিত্যিক কুণাল ঘোষ বলেন, খবর করতে গিয়ে খবরের স্বার্থে অনেক কিছু লেখা যায় আবার অনেক কথা, কিছু কিছু জায়গা, কিছু কিছু চরিত্র মনের মধ্যে দাগ কেটে যায়। পরে মনে হয় ওটা যদি এমন হতো তাহলে বোধ হয় ভালো হতো। কুণাল বলেন, প্রচেত গুপ্তর মতো গল্পকাররা গল্পকে তৈরি করে নেন। কিন্তু আমার মধ্যে এখনো পর্যন্ত সেই ক্ষমতা আসেনি। আমার চারপাশে যেগুলো আছে সেখান থেকে আমি গল্প তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টা করি।এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তার উপন্যাস রানি সাহেবা বইটির কথা।

তিনি বলেন, যে দুটি নারী চরিত্র আছে উপন্যাসে সেগুলো কিন্তু আমার নিজের তৈরি করা কোনও চরিত্র নয়। ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা দুটি চরিত্রকে আমি মেলানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। কুণালের স্বগোক্তি, আমার বন্দিদশাই বলুন আর সাংবাদিকতাই বলুন। সেখান থেকেই এই চরিত্রগুলো আমার লেখার মধ্যে জায়গা পেয়েছে।

লেখক বিশ্বদীপ দে বলেন, আমি যেগুলো বিশ্বাস করি যেটা দেখি সেটাই আমার চরিত্রের মধ্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করি। এ প্রসঙ্গে তিনি হারিয়ে যাওয়া মামাবাড়ির কথা উল্লেখ করেন। যা তাঁর অনেক লেখাতেই জায়গা করে নিয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন,গল্পের জন্ম হয় আর তারপর সেই গল্পের হাত বদল হয়। লেখকের কাছ থেকে তা পাঠকের কাছে যায়।

গল্পকার গৌর বৈরাগী বলেন, চাকরি সূত্রে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে হতো। আমার গল্পের জন্ম বাস্তব চরিত্র থেকে। শুভময় সরকার বলেন, আমার গল্পের চরিত্র দৈনন্দিন ঘটনা থেকে উঠে আসে। কিন্তু একজন গল্পকার কখনও সেফ ল্যান্ডিং চাইতে পারেন না বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।

Previous articleমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার সমন খারিজ করল আদালত
Next articleরঞ্জিতে ৩৭৯ রান পৃথ্বীর, শুভেচ্ছা বার্তা বোর্ড সভাপতি থেকে সূর্য-শ্রেয়সের