ফের ব্যাংক ধর্মঘট! জানুয়ারির শেষে ভোগান্তির মুখে কর্মচারী থেকে সাধারণ মানুষ

কেন্দ্র যেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণ করছে, সেটারও বিরোধিতা করছে কর্মী সংগঠনগুলি।যে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নস এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, সেটি আসলে দেশের বৃহত্তম ৯টি ব্যাংক কর্মী সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ।

বছরের প্রথম মাসের শেষ সপ্তাহে ধর্মঘট (Bank Strike), হাজার হাজার ব্যাংকের গ্রাহক ফের ভোগান্তির মুখে পড়তে চলেছেন। কেন্দ্রের সংযুক্তিকরণের নীতি, বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস (Restructuring of pay structure), সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ-সহ একাধিক দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এটিএমগুলিও (ATM) ধর্মঘটের আওতাভুক্ত বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়ন (United Forum of Bank Unions)। আর এর জেরি সমস্যায় পড়তে চলেছেন সাধারণ মানুষ। আগামী ৩০ জানুয়ারি সোমবার এবং এবং ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ধর্মঘটের (Bank Strike) ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগের শনি রবিবার ব্যাংক বন্ধ, ফলে সব মিলিয়ে বছরের প্রথম মাসের শেষ লগ্নে সমস্যার মুখে উপভোক্তারা।

ব্যাংকে সাধারণত প্রতি মাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার ছুটি থাকে কর্মীদের। এবার একধাপ এগিয়ে প্রতি সপ্তাহে শনি এবং রবিবার ছুটি ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছেন কর্মীরা। পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধির দাবিও রয়েছে তাঁদের। কেন্দ্র যেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণ (Bank Privatisation) করছে, সেটারও বিরোধিতা করছে কর্মী সংগঠনগুলি। যে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নস এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, সেটি আসলে দেশের বৃহত্তম ৯টি ব্যাংক কর্মী সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ। অর্থাৎ দেশের প্রায় সব ব্যাংক কর্মীই এই ধর্মঘটে অংশ নেবেন। যার ফলে ওই পাঁচদিন কার্যত থমকে যেতে চলেছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

জানুয়ারির ২৮ তারিখ মাসের চতুর্থ শনিবার। ২৯ তারিখ রবিবার। এই দু’দিন এমনিই ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তারপর সোম এবং মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কর্মচারিরা। যার ফলে হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

 

Previous articleরাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজ, ১৬ তারিখ ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচন: নির্দেশ হাইকোর্টের
Next articleএখনও মান্থার এজলাস বয়কট আইনজীবীদের বড় অংশের, পিছোচ্ছে একাধিক মামলার শুনানি