এক গোলে এগিয়ে থেকেও জামশেদপুরের কাছে ২-১ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল

ক্লেটন সিলভার গোলে এগিয়ে থেকে ২-১ গোলে হার লাল-হলুদের। দ্বিতীয়ার্ধে বারবার গোল হজম করে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়ার অভ্যাস লিগের মাঝপথে এসেও বদলাতে পারল না স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল।

এক গোলে এগিয়ে থেকেও হার ইস্টবেঙ্গল এফসির। ইস্টবেঙ্গলে আঁধার কাটছে না। জামশেদপুরকে হারিয়ে প্রথম ছয়ে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এগিয়ে থেকেও আরও একবার লজ্জার হারে নিভল মশাল। ক্লেটন সিলভার গোলে এগিয়ে থেকে ২-১ গোলে হার লাল-হলুদের। দ্বিতীয়ার্ধে বারবার গোল হজম করে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়ার অভ্যাস লিগের মাঝপথে এসেও বদলাতে পারল না স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। জামশেদপুরকে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়ে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কলকাতায় এসে মধুর প্রতিশোধ নিয়েই ফিরছে এডি বুথরয়েডের দল। শেষ মুহূর্তে গোল করে জামশেদপুরকে জিতিয়ে দিলেন আসানসোলের বঙ্গসন্তান ঋত্বিক দাস। তাদের অপর গোলটি করেন হ্যারি সয়ের। এবারে লিগে অন্তত ন’টি ক্ষেত্রে জয়ের জায়গায় থেকে ম্যাচ হাতছাড়া করল ইস্টবেঙ্গল। চাপ আরও বাড়ল কোচ স্টিফেনের উপর। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল নামল লিগে ৯ নম্বরে। ১০ নম্বরে জামশেদপুর।

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চলতি মরশুমে যেটুকু ভরসা দিচ্ছেন সেই ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা। নিয়মিত গোল করে দলকে লড়াইয়ে রাখছেন। এদিনও তা করলেন। ম্যাচের ১২ মিনিটে ক্লেটনের গোলেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। অ্যালেক্স লিমার পাস থেকে গোলমুখী আক্রমণ ক্লেটনের পায়ে ফিনিশ। কিন্তু এই গোলও ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ। মাঝমাঠে বল ধরে খেলার লোক নেই। রক্ষণ কমজোরি। উইং প্লে নেই। তাই আক্রমণও দানা বাঁধে না। ফলে ম্যাচের পর ম্যাচ শুরুতে উজ্জীবিত ফুটবল খেললেও সময় যত গড়ায়, ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় কনস্ট্যান্টাইনের দল। যুবভারতীতে ঘরের মাঠেও এদিন সেই চেনা ছবি লাল-হলুদের খেলায়। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ব্যর্থতায় দু’টি গোল জামশেদপুরের। ৬১ মিনিটে সয়ারের গোলে সমতা ফেরায় তারা। ৮৫ মিনিটে রক্ষণে জেরি, সার্থক গলুইদের ভুলে জয়সূচক গোলটি করে যান ঋত্বিক। ম্যাচের সেরাও হলেন বঙ্গসন্তান।

Previous articleদেশভাগের যন্ত্রণায় মিশেছে গ্রিক ট্র্যাজেডির ছবি: আর্ট একরে আলোচনা সভায় মত ব্রাত্য মিলিন্দের
Next articleস্বামীজীর জন্মদিনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেগঙ্গায়