গান্ধীজিকে কীভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হবে সেটা বিজেপির কাছ থেকে শিখব না, ঘাটালে তোপ কুণালের

তাঁর স্পষ্ট কথা, মহাত্মা গান্ধীকে কীভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয় সেটা চিরকাল ভারতবাসী দেখিয়ে এসেছে। বিজেপির এই কুৎসিত রাজনীতি মানুষ বুঝে গিয়েছে।

গান্ধীজির শহিদ দিবসে দেশজুড়ে দু মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, মহাত্মা গান্ধী জাতির জনক। আর সেই মহাত্মা গান্ধীকে কীভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হবে সেটা বিজেপির কাছ থেকে আমরা শিখব না। বরং কুণাল মনে করিয়ে দেন, গান্ধীজিকে যিনি হত্যা করেছিলেন সেই নাথুরাম গডসেকে তো বিজেপি মাথায় করে রাখে। ঘাতককে মাথায় করে রাখবে আর যিনি মারা গেলেন তার জন্য নীরবতা পালন করবে এই দ্বিচারিতা কেন ? এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর স্পষ্ট কথা, মহাত্মা গান্ধীকে কীভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয় সেটা চিরকাল ভারতবাসী দেখিয়ে এসেছে। বিজেপির এই কুৎসিত রাজনীতি মানুষ বুঝে গিয়েছে।
মেঘালয়কে তৃণমূলের ফোকাস করা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ঘাটালে কুণাল বলেন, যেখান থেকে মানুষের ডাক আসছে, যারা তৃণমূলের উন্নয়নের মডেলকে গ্রহণ করতে চাইছেন সেখানেই তৃণমূল পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।তাঁর সাফ কথা, বিজেপির নীতিটাই জনবিরোধী নীতি। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেগুলো প্রয়োজন, পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস-সার সব কিছুরই তো দাম আকাশছোঁয়া। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা থেকে চাল,ডাল,ভোজ্য তেল এগুলো সব বাদ চলে যাচ্ছে।ভারতবর্ষের কর্মসংস্থান একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।বিজেপি মুখে বলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ আর ভারত মাতার গলার যে গয়নাগুলো আছে সেগুলো সব বিক্রি করে দিচ্ছে।
এদিন ফের কুণাল বলেন, শুভেন্দু কেন কোর্টের বদলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে যাব বলেন ? আমি সেই প্রশ্ন করেছি।তৃণমূল কংগ্রেস এত বড় একটা দল।সেখানে ৯৯ শতাংশ কাজ ভালো হয়েছে হয়তো এক শতাংশ কাজ কোথাও ভুল হয়েছে। আমরা তো বলছি, ভুল হলে তা সংশোধন করে নেওয়া হবে আর অন্যায় হলে তার জন্য আইন আছে শাস্তি হবে। দুই এক শতাংশের জন্য সবাইকে খারাপ বলা যাবে না, ৯৯ শতাংশ উন্নয়নকে ভুলে গেলে হবে না।

Previous articleরাজনৈতিক সৌজন্য : বাম নেতা সুজনের দুয়ারে ‘দিদির দূত’ লাভলি
Next articleটেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে আপ্লুত ইশান, ভিডিও পোস্ট বিসিসিআইয়ের