হাই কোর্টের বিচারপতি বাছতে মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শ নেওয়া হোক: কলেজিয়ামকে চিঠি রিজিজুর

কলেজিয়ামের বৈঠকের পর সুপ্রিম বিচারপতিরা জানান, এই আইনজীবীদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না করার পিছনে নতুন কোনও যুক্তি দেখাতে পারেনি কেন্দ্র। এরপরই সরকার একই সুপারিশ বার বার ফেরত পাঠাতে পারে না বলেও কলেজিয়াম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের (Chief Minister) তাঁদের পছন্দের আইনজীবীদের (Advocates) নাম সুপারিশ করতে দিন। ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (D Y Chandrachud) চিঠি লিখে হাই কোর্টে (High Court) বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এমনই আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং অন্যান্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয় কলেজিয়াম (Collegium)। দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪ প্রবীণ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হয় কলেজিয়াম। চিঠিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী লিখেছেন, কলেজিয়াম ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হোক। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের মতামতও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে সুপ্রিম কলেজিয়ামের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এছাড়া বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কউল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের মতো সিনিয়ার বিচারপতিরাও আছেন এই কলেজিয়ামে। প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেছেন, হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামে নাম সুপারিশ করার অধিকার দেওয়া হোক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও। তাঁর যুক্তি, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের ক্ষেত্রে এমনিও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাছাড়া বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বর্তমান মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর (MoP) বা নিয়মেও মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্র সরকারের নাম সুপারিশ করার অধিকার আছে। নতুন যে মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর তৈরির প্রস্তাব কেন্দ্র সরকার দিয়েছে, তাতেও মুখ্যমন্ত্রীদের নাম সুপারিশ করার নিয়ম রাখা হোক। এবং সেটা যাতে পুরোপুরি কার্যকর হয়, সেটা নিশ্চিত করুক শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম অনুযায়ী, বারবার কেন আইন মন্ত্রক আপত্তি তুলছে তা পরিষ্কার নয়। কলেজিয়ামের বৈঠকের পর সুপ্রিম বিচারপতিরা জানান, এই আইনজীবীদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না করার পিছনে নতুন কোনও যুক্তি দেখাতে পারেনি কেন্দ্র। এরপরই সরকার একই সুপারিশ বার বার ফেরত পাঠাতে পারে না বলেও কলেজিয়াম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরের খবর এভাবে সর্বোচ্চ আদালত প্রকাশ্যে এনে দেওয়ায় বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছল বলে আইনজীবীরা মনে করছেন।

 

 

Previous articleসন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে কঠিন গ্রুপে বাংলা
Next articleপুলিশকে বদনাম করতেই ‘নাটক’: ব্যর্থতা ঢাকতে দিল্লিকাণ্ডে স্বাতীকেই দায়ী করল BJP