বাদশাহী কামব্যাক! মুক্তির আগেই রেকর্ড পাঠানের

ইতিমধ্যে দেশ তথা রাজ্যে টিকিটের হাহাকার দেখা দিয়েছে। টিকিট বুকিং অ্যাপগুলিতে কার্যত ভার্চুয়াল জনজোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হটকেকের মত বিকোচ্ছে পাঠানের টিকিট।

মাঝে কমপক্ষে সাড়ে ৪ বছরের ব্যবধান। দেশে কোভি*ড পরবর্তী সময়ে ফের সিলভার স্ক্রিনে (Silver Screen) বাদশাহি কামব্যাক। জিরোর ধাক্কা কাটিয়ে এখন ফোকাস শুধুই ‘পাঠান’ (Pathaan)। হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই দেশ তথা রাজ্য ছাপিয়ে বিদেশেও কিং খানের ক্যারিশ্মা দেখার অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা। তবে প্রথমে ‘বেশরম’ গানের দৃশ্যায়ন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেললেও খোদ পাঠান তা খুব নিপুণ হাতে সামলে ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিতে পেরেছেন। আর দিন যত গড়াচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে সেই চিত্রটা। তবে সবথেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, এতদিন পরে কিং খানকে (King Khan) পাঠান অবতারে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন শাহরুখ ভক্তরা। ইতিমধ্যে দেশ তথা রাজ্যে টিকিটের হাহাকার দেখা দিয়েছে। টিকিট বুকিং অ্যাপগুলিতে কার্যত ভার্চুয়াল জনজোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হটকেকের মত বিকোচ্ছে পাঠানের টিকিট। পাশাপাশি দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আনা হয়েছে প্রথম শোয়ের (First Show) সময়। দেশের একাধিক প্রেক্ষাগৃহে ভোর ৬টা থেকেই প্রিমিয়াম ফরম্যাটে দেখানো হবে পাঠান।

তবে শুধু দেশ নয়, কলকাতারও একই অবস্থা। টিকিট বুকিং অ্যাপে চোখ রাখলে দেখা যাবে শহরের একাধিক প্রেক্ষাগৃহ ফার্স্ট শোয়ের (First Show) সময় এগিয়ে এনেছে। আর ছবির অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সংখ্যা দেখে প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন কত হতে পারে তা আন্দাজ করতে পারছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য ও প্রদর্শনী বিভাগ আশা করছে প্রথম দিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারিই মোটামুটি ৫০ কোটির গণ্ডিতে ঢুকে পড়তে পারে পাঠান।

এদিকে দেশ ও রাজ্যের পাশাপাশি পাঠান বন্দনায় মেতে উঠেছে দুবাইও (Dubai)। সেদেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় করে শাহরুখের কাট আউট লাগান হয়েছে। পাশাপাশি এলইডি স্ক্রিনেও প্রদর্শিত হচ্ছে পাঠানের ট্রেলার। তবে সবকিছুর ঝলক পাওয়া যাবে ২৫ জানুয়ারির পর। কিন্তু পরেরদিনই যেহেতু প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতীপুজো এবং ২৯ তারিখ রবিবার সেকারণে উইকেন্ডে পাঠান ঝড় যে আছড়ে পড়তেই পারে তার পূর্বাভাস ট্রেড অ্যানালিস্টদের (Trade Analyst) কথাতেই স্পষ্ট।