ফের ৫০০ বন্দে ভারতের স্বপ্ন ফেরি শুরু প্রধানমন্ত্রীর

রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটেই এই ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা।

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ফলে ফের বন্দে ভারতের স্বপ্ন ফেরি শুরু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এবার সংখ্যাটা ৫০০। বাস্তব পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত দেশে চালু হয়েছে মাত্র ৮টি। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটেই এই ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা।
২০২১ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে মোদি বলেছিলেন, পরবর্তী ৭৫ সপ্তাহে দেশের ৭৫টি প্রান্ত থেকে চালানো হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যদিও সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনের বাস্তবায়নের সঙ্গে কথার বিস্তর ফারাক। গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন ৪০০টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের মাত্র আটটি রুটে তার দেখা মিলেছে। বাকিগুলি কবে চালু হবে, তা জানা নেই রেলমন্ত্রকের।
ফলে ফের ৫০০টি সেমি হাইস্পিড ট্রেনের ঘোষণায় রাতের ঘুম ছুটেছে রেল মন্ত্রকের। প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভায় বাজিমাত করতেই কি আমজনতার মন জয় করার চেষ্টা ? একটা বিষয় স্পষ্ট, লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত দেশের আরও বেশ কয়েকটি রুটে এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা।
গত ১৫ জানুয়ারি সর্বশেষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হয়েছে বিশাখাপত্তনম-সেকেন্দ্রাবাদ রুটে। বর্তমানে চলা এই ট্রেনগুলির পুরোটাই চেয়ার কার। তাই এখন সেগুলি চালাতে শতাব্দীর রুটগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রেল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে স্লিপার ক্লাস-যুক্ত বন্দে ভারত ট্রেন আসতে চলেছে। তখন রাজধানী এবং দুরন্তের রুটগুলিতে সেগুলি চলবে। এবারের সাধারণ বাজেটে রেলের রোলিং স্টকে বিপুল বরাদ্দ হতে পারে। শুধু ৫০০টি বন্দে ভারত ট্রেন নয়, ৫ হাজার এলএইচবি কোচ, সাড়ে ৫ হাজার ওয়াগন, অন্তত ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরিও লক্ষ্য। তাই রেলের রোলিং স্টকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হতে পারে প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা।সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বন্দে ভারত নিয়ে ঘোষণার চমক এখনই বন্ধ হচ্চে না কেন্দ্রের তরফে।

 

Previous articleভিলেন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা! সরস্বতী পুজোর আগেই উধাও শীতের আমেজ
Next articleঅভিষেক প্যান্ডোরার বাক্স খুললে বিজেপির পতাকা ধরার লোক থাকবে না: কেন বললেন মদন!