ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ২০১৯-এ, দাবি মার্কিন বিদেশ সচিবের

২০১৯ সালে পাকিস্তানের(Pakistan) বালাকোটে ভারতের বিমান হামলার পর ভারত(India) ও পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধের(atomic attack) প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমেরিকার হস্তক্ষেপে এই যুদ্ধ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনীতে চাঞ্চল্যকর এমন দাবিই করলেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও(Mike Pompeo)।

নিজের আত্মজীবনীতে মার্কিন বিদেশ সচিব জানান, “গোটা বিশ্ব হয়তো জানে না, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ বেধে যাওয়া একেবারে অবশ্যম্ভাবী ছিল। ২০১৯ সালে দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে দাঁড়ায়। প্রথমে পুলওয়ামা হামলায় (Pulwama Attack) বহু সেনার মৃত্যু হয়। পরের দিনই পাক সেনার হাতে আটক হন অভিনন্দন। সেই সময়ই জানতে পারি দুই দেশ পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।” আত্মজীবনীতে তিনি দাবি করেন, “এক ভারতীয় উচ্চপদস্থ আধিকারিক আমাকে জানান, পারমাণবিক প্রস্তুতি শুরু করেছে পাকিস্তান। তাই পালটা জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে ভারতও।”

এরপর সেই যুদ্ধ কীভাবে রোখা গিয়েছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে পম্পেও জানান, বিষয়টি জানার পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার বাজওয়ার সঙ্গে কথা বলি আমি। তবে পাক সেনাপ্রধান পালটা জানান, আসলে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতই। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করি। তাদের বোঝানো হয়, কেউই কারোওর বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করছে না। এই যুদ্ধ হলে তার পরিণাম কত ভয়াবহ হতে পারে সেই কথা ভেবেই আলোচনা শুরু করি। অন্য কোনও দেশ হলে এই উদ্যোগ নিত না।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় পুলওয়ামায় শহিদ হন চল্লিশেরও বেশি ভারতীয় জওয়ান৷ পুলওয়ামা হামলার ঠিক ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর মাধ্যমে আকাশপথে পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি৷ সেই সময়েই পাকিস্তানের হাতে আটক হন অভিনন্দন বর্তমান। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতিস্বীকার করে তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

Previous articleরাজনৈতিক সততা ভুল করে ক্ষমা চাইলেন উস্তির বিধায়ক
Next articleচূড়ান্ত ‘অসভ্যতামি’! আইএসএফ-র মিছিলকে ‘অবাঞ্ছিত’ কটাক্ষ কুণালের