২৬ জানুয়ারি রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি দেওয়াবেন কে? চমক সেই নামেও

২৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় রাজভবনের ‘ইস্ট লন’-এ বাংলার হাতেখড়ি হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। উপস্থিতি থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।

সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Pujo) এক অভিনব হাতেখড়ির সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। ২৬ জানুয়ারি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হাতেখড়ি। এই খবর কয়েকদিন আগেই জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। কিন্তু কে বাংলায় হাতেখড়ি দেওয়াবেন রাজ্যপালকে? সেই নামেও রয়েছে চমক। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জলি রায় নামে আট বছরের এক বালিকার থেকে রাজ্যপাল হাতেখড়ি নেবেন। গুরুদক্ষিণা হিসেবে তাঁর বেতনের একাংশ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার হিসেবে দেবেন রাজ্যপাল। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে ১ লক্ষ, ৭৫ হাজার, ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।

২৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় রাজভবনের ‘ইস্ট লন’-এ বাংলার হাতেখড়ি হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। উপস্থিতি থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। থাকবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেওয়া কয়েকজন পড়ুয়াকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

শুধুমাত্র বাংলার নয়, সারা বিশ্বের সেরা এবং উজ্জ্বল বাঙালি পড়ুয়াদের নিয়ে একটি ‘গভর্নর্স গোল্ডেন গ্রুপ’ তৈরি করারও পরিকল্পনা নিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে এক ঘণ্টা করে বাংলা শেখার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন আনন্দ বোস।

রাজ্যপাল হিসাবে রাজভবনে প্রবেশের সময় থেকেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ও আবেগের কথা জানিয়েছিলেন। মালয়ালি রাজ্যপালের নামের শেষে বাংলা বোস পদবিও সেই বঙ্গ প্রেমেরই নিদর্শন। শৈশব থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখার ভক্ত আনন্দ বোসে ‘কাবুলিওয়ালা’কে তাঁর পড়া সেরা গল্প হিসেবে বিবেচনা করেন। ১৯৯০ -এর দশকের গোড়ার দিকে, বোস একটি ছোট গল্প ‘চৌরঙ্গীলে পুক্কল’ (চৌরঙ্গীর ফুল) লিখেছিলেন। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ‘চৌরঙ্গীলে পুক্কল’ সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা লিখেছেন। বোসের আত্মজীবনী-সহ তাঁর সমস্ত সাহিত্যকর্মের অনুবাদ করা হচ্ছে তাঁরই তত্ত্বাবধানে। এর মধ্যে কয়েকটি কলকাতা বইমেলার সময় প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

Previous articleঅস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে সানিয়া-বোপান্না জুটি
Next articleশিলিগুড়িতে বিলুপ্তপ্রায় সি হর্স-সহ ধৃত এক