রাজ্যপালের “হাতেখড়ি” নিয়ে রাজনীতি শুভেন্দুর, কুণাল বললেন “অসভ্য-ঈর্ষাপরায়ণ-নিচ মন-বিশ্বাসঘাতক

আজ সরস্বতীর পুজোরদিন বিকেল ৫টায় বাংলা শেখার হাতেখড়ি দেন রাজ্যপালের। রাজভবনে সাজ সাজ রব। নর্থ গেটের সামনে দেওয়া হয়েছে আলপনা। হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের আগে চা চক্রের আয়োজন করা হয়

সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে হাতেখড়ি দিলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। আর সেটা নিয়েও নোংরা রাজনীতি বঙ্গ বিজেপির। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলেই সকাল সকাল লম্বা-চওড়া টুইটে করেছিলেন শুভেন্দু। শুধু শুভেন্দু নয়, কুৎসার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপিকে পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও।

আজ, বৃহস্পতিবার টুইট করে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগের পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকবেন, সেই প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু।

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শুভেন্দুকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পাল্টা টুইটে কুণাল বলেন, “অসভ্য। ঈর্ষাপরায়ণ। নিচ মন।

ধনকড়ের সময় বিজেপির রাজনৈতিক কাজের অফিস বানিয়েছিলে রাজভবনকে, তখন সম্মানের কথা মনে পড়েনি? রাজ্যপাল বাংলা শিখতে চেয়েছেন। বঙ্গবাসী ও বঙ্গভাষীর তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। সকলেই জানাচ্ছেনও। একমাত্র বঙ্গের বিশ্বাসঘাতকরাই এনিয়ে রাজনীতি করতে পারে।”

টুইটে কুণালের আরও সংযোজন, “রাজ্যপালকে অপমান। বাংলা ভাষার প্রতি রাজ্যপালের আন্তরিক মনোভাবকে অসম্মান করল এই অসভ্য। পাশাপাশি এক কৃতী দক্ষ যোগ্য মহিলা আইএএস’কে অপমান করল, চাপ দেওয়ার, ভয় দেখানোর চেষ্টা করল। নিন্দা করছি। রাজভবনটাকে মামারবাড়ি ভাবছিল। নন্দিনীর জুতো পালিশের যোগ্যতাও শুভেন্দুর নেই।”

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালকে তাঁর কটাক্ষ “প্রথমেই ভুল মাস্টারের কাছে হাতেখড়ি হলে, ভুলই শিখবেন। তাই ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন।” দিলীপ ঘোষকে পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।তিনি বলেন, “নিজেরা ঠিক ভাবে হাতেখড়ি দিন, না হলে ৭০ থেকে সাতে নেমে যাবেন।”

উল্লেখ্য, আজ সরস্বতীর পুজোরদিন বিকেল ৫টায় বাংলা শেখার হাতেখড়ি দেন রাজ্যপালের। রাজভবনে সাজ সাজ রব। নর্থ গেটের সামনে দেওয়া হয়েছে আলপনা। হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের আগে চা চক্রের আয়োজন করা হয়। ইতিমধ্যেই রাজভবনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন- Kolkata: সরস্বতী পুজোর বিকেলে আনন্দপুরের প্লাস্টিক গোডাউনে বিধবং*সী আগু*ন!

 

 

Previous articleKolkata: সরস্বতী পুজোর বিকেলে আনন্দপুরের প্লাস্টিক গোডাউনে বিধবং*সী আগু*ন!
Next articleএবার জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য কমিশনের শুনানি