Saturday, August 23, 2025

অনেক রাজ্যেই কংগ্রেস শূন্য, হাতে ভোট মানে পদ্মে ভোট: জয়রামের মন্তব্যের জবাব অভিষেকের

Date:

Share post:

কংগ্রেস থেকে বিজেপি- তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নিশানায় বিরোধীরা। শনিবার, ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbor) প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, কংগ্রেস বেশির ভাগ জায়গাতেই শূন্য হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।

এদিন, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মন্তব্য নিয়ে অভিষেককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, তার উত্তরে তিনি বলেন, কংগ্রেসই (Congress) একমাত্র বিরোধী কি না, তা নির্বাচন এলেই বোঝা যাবে। এটা মানুষের শুভ বুদ্ধির উপর ছেড়ে দেওয়া ভালো। তিনি বলেন, জয়রাম রমেশ বা কংগ্রেসের মন্তব্য নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাইছেন না। এর উত্তর মানুষে দেবে। তবে, সব দলেরই ব়্যালি করার অধিকার আছে। এরপরেই তৃণমূলের উদাহরণ টেনে অভিষেক বলেন, তাঁরা বাংলার বাইরে সব জায়গায় লড়াই করছেন। ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে একই সময় বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে জোড়াফুল শিবির। তবে, অভিষেকে মতে, তাঁরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দেরি করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূলত তিনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। গোয়াতে নির্বাচনে লড়েই ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। অভিষেকের কথায়, তাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে প্রথমবার নির্বাচনেই আট শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল। কংগ্রেস বা বিজেপির শূন্য থেকে শুরু করে ৮ শতাংশে পৌঁছতে অনেক সময় লেগেছে। অভিষেকে মতে, বাংলার পাশাপাশি, কংগ্রেস এখন অনেক রাজ্যেই শূন্য। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া।

এরপরেই বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, তাঁরা স্যোশাল মিডিয়া রাজনীতি করেন না, মাঠে নেমে লড়াই করেন। বাংলার বঞ্চনা নিয়েও সরব হন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হয়নি। এরপরেই তোপ দেগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, যাঁরা মনে করছে বাংলার টাকা আটকে মানুষকে শিক্ষা দেবে, তাঁরা ইতিহাস হয়ে যাবে।

আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের পতনের বড়সড় প্রভাব দেখা দিয়েছে বাজারে। ঝুঁকির মুখে বৃহত্তম জীবন বীমা সংস্থা LIC পর্যন্ত। কারণ, আদানি গ্রুপের শেয়ারে ব্যাপক পতন হয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিতে এলআইসির বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, বিজেপি সব কিছু নিয়েই ইডি-সিবিআই চায়। এই বিষয় নিয়ে ইডি-সিবিআই হবে না কেন! প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন- অমর্ত্যকে আক্রমণ ‘বাংলার লজ্জা’, কিছু বাঙালি গুজরাটের তল্পিবাহক: তোপ অভিষেকের

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...