‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হতেই ভাইরাল

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা। মানুষকে সামাজিক সুরক্ষার বার্তা দিতে শাসকদলের নয়া কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলছে। সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁচ্ছছে কি না তার খোঁজখবর নিতেই ‘দিদির-দূত’ রা এলাকায় যাচ্ছেন। মানুষের অভাব অভিযেগ শোনার পাশাপাশি দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।

শুরু হওয়া সেই প্রকল্পটির মিউজিক ভিডিও উদ্বোধন হল রবিবার। এ দিন তৃণমূল ভবনে যুব নেতা-নেত্রী দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নি ঘোষ, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে মিউজিক ভিডিওটির উদ্বোধন হয়।‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির মাধ্যমে কীভাবে রাজ্যবাসীকে আগলে রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী, তা গানের প্রথম কটি লাইনেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার গান প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এই ভিডিও প্রকাশ হতেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভাইরাল। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই থিম সং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহলমহল।

মিউজিক ভিডিওতে নজর কেড়েছে ‘বদলা নয় বদল চাই’, ‘গ্রামে গ্রামে ফুটছে উন্নয়নের ফুল’ গানগুলি। আবার ‘খেলা হবে’ গানটি ইতিমধ্যেই দনপ্রিয়তার শীর্ষে। একসময় সকলের মুখে মুখে ফিরেছে ওই গান। সদ্য আত্মপ্রকাশ করা ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির থিম সং ঘিরে তাই উন্মাদনা তুঙ্গে। ইউটিউবে গানটির ভিউয়ার সংখ্যা যেমন ক্রমবর্ধমান, তেমনি শেয়ারও হচ্ছে দ্রুত।

গানটি গেয়েছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুর দিয়েছেন তিনি নিজেই। মিউজিক ভিডিওটির শুরুতেই উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এরপর একে একে দক্ষিণবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ। যেখানে দেখানো হয়েছে পুরুলিয়ার ছৌ, শান্তিনিকেতনের বাউল গান, সাঁওতালি নাচ সহ বাংলার দুর্গাপুজোর একটুকরো ছবি। যুবনেত্রী সায়নি ঘোষ বলেছেন, “এই গান সাধারণ মানুষের, ছাত্র যুবদের গান।’

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’  কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। তারপরই হাতেকলমে সেই কর্মসূচি শিখিয়ে দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কর্মসূচির দু’টি পর্যায়। এক, অঞ্চলে বা নগরে একদিন এবং দুই, দিদির দূত। গোটা প্রক্রিয়াই পরিচালনার গুরুদায়িত্ব ৩২০ জন নেতা ও সাড়ে ৩ লক্ষ কর্মীর উপর দিয়েছে তৃণমূল। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির প্রথম পর্যায় ‘অঞ্চলে বা নগরে একদিন’। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় ‘দিদির দূত’।

যুব নেতা-নেত্রীরা বলছেন, “ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যেমে জনগণের কাছে পৌঁছতে চেয়েছি। কাজ করতে গিয়ে মানুষের কাছে বাধা আসে। অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেগুলিকে ছেড়ে এগিয়ে যেতে হয়। আর তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত বাধা-বিঘ্ন কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল শুধু ভোটের সময় মানুষের পাশে থাকে না। সবসময় মানুষের পাশে আছে। এই প্রকল্পে যাঁরা নিয়োজিত হয়েছেন তারা যতদিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ১০ কোটি পরিবারের কাছে যাবেন না ততদিন এই প্রকল্প চলবে।”

 

Previous articleতৃণমূল করার অপরাধ! বাঁকুড়ায় কর্মীদের উপর হাম*লার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
Next articleউপযুক্ত পাত্রী চাই! পণও দিতে প্রস্তুত পাত্র! ভাইরাল যুবকের কীর্তি