আইএফএ সভাপতির ‘আমাদের দল’ মন্তব্যে বিতর্ক ময়দানে

মোহনবাগানের তরফে আইএফএর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

ফের বিতর্ক ময়দানে । এবার বিতর্কে জড়ালেন আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার সূত্রপাত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে।দিন কয়েক আগে লাল-হলুদ ক্লাবে মহিলা ফুটবলারদের সামনে একটি ছোট্ট ভাষণ দেন আইএফএ সভাপতি।সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল সেই ভিডিও।আর এরপরই মোহনবাগানের তরফে আইএফএর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।কিন্তু আইএফএ সভাপতি পুরো বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন,  এটা কোনও বিতর্কের বিষয়ই নয়।এইভাবে জল ঘোলা করার কোনও অর্থ হয়না।

যে বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক, টুইটারে সেই ভিডিও ক্লিপিংসে দেখা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভিতর দেবব্রত সরকার-সহ  অন্য কর্তা এবং মহিলা ফুটবলারদের সামনে আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আমরা সবাই যেমন খুশি হয়েছি, তোমরা ফুটবলাররাও নিশ্চয়ই খুশি হয়েছো। আর এর ফলে আমরা ‘আই ডব্লু এল’-এ খেলার সুযোগ পেয়েছি। এরপর নিশ্চয়ই আমরা যাব। সবাই কোচের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। কোচ আমাদের সঙ্গে কথা বলে নেবে।

মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তের অভিযোগ, আইএফএ’র সংবিধান অনুযায়ী আইএফএর কোনও পদাধিকারী তিন প্রধানের কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আইএফএ সভাপতি নিজে ইস্টবেঙ্গলের  মহিলা দলকে আমাদের দল বলে সম্বোধন করছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভিতরে দাঁড়িয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এরপর আইএফএ’র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। মোহনবাগান সচিবের প্রশ্ন, সভাপতির চেয়ারে বসে কীভাবে সভাপতি নিরপেক্ষ বিচার করবেন? এরপরে আইএফএ যদি কাউকে কোনও শাস্তি দেয়, তা কখনই নিরপেক্ষভাবে বিচার করা হবে না।

মোহনবাগান সচিবের এই  অভিযোগের কথা শুনে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেছেন  ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।তিনি বলেছেন, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য। তিনি ক্লাবের ভালোর জন্য কিছু বলতেই পারেন। আগে দেখুন আইএফএ সভাপতির চেয়ারে বসে তিনি কোনও পক্ষপাতুষ্ট সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কি না।যদি সেরকম পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তবে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

উদাহরণ হিসাবে তিনি কিছুদিন আগে মহামেডানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের একটি ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, মহামেডান আমাদের মাঠে খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল। ক্রীড়ামন্ত্রীর ইচ্ছেতে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ম্যাচ কিশোরভারতীতে দিয়ে দিয়েছিলেন।তিনি কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের স্বার্থ দেখেন নি।তখন আইএফএর  স্বার্থ দেখেছেন।বরং দেবব্রতবাবুর খোঁচা, মোহনবাগান  যেহেতু কন্যাশ্রী কাপ খেলেনি, তাই সমর্থকদের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্যই মোহনবাগান সচিব এরকম মন্তব্য করছেন।

এই প্রসঙ্গে কী বলছেন আইএফএ সভাপতি ? তাঁর বক্তব্য, সভাপতি কখনও একটা ক্লাবের হতে পারে না। ইস্টবেঙ্গল ডেকেছে, আমি গিয়েছি। মোহনবাগান ডাকলেও যাব। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক খুঁজতে যাওয়া বোকামি। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি, আপাতত এই ইস্যুতে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে।

 

Previous article‘শর্ত’ দিয়ে দাম্পত্য নয়, স্পষ্ট জানাল দেশের শীর্ষ আদালত !
Next article‘লখনউয়ে অবাক পিচ’, হার্দিকের মন্তব্যের পরই চাকরি গেল পিচ কিউরেটরের