Wednesday, December 3, 2025

ক*রোনাকালের খরা কাটাতে নেই কোনও ছাড়-মজুরি বৃদ্ধি, বাজেটে বঞ্চিত কৃষক-শ্রমিক !

Date:

Share post:

ক*রোনাকালের আড়াই বছর কাজ ছিল না। পাওয়া যায়নি ঠিকমতো মজুরি। মনে করা হয়েছিল এবারে দ্বিতীয় মোদি সরকারের (Modi government) শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে (Budget) শ্রমিক-কৃষকদের জন্য কোনও সুরাহা থাকবে। কিন্তু হতাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। বুধবার, ২০২৩-২৪-এর পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তাঁদের জন্য তেমন কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা গেল না কেন্দ্রকে। চা শিল্পও (tea industry) রইল ব্রাত্য।

বুধবার, সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Minister of Finance of India)। আন্দোলনের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয় কেন্দ্র। সেই পরিস্থিতিতে এবার কৃষকদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রকে প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্তিকরণ আর কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে বরাদ্দ বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই হয়নি যেটা কৃষকদের অবস্থার উন্নতি করার পক্ষে যথেষ্ট। মত বিশেষজ্ঞ মহলের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় সরকার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ৬৩ হাজার প্রাইমারি ক্রেডিট সোসাইটি গড়ে তুলবে। ঋণ, বিমা এবং বাজার সংক্রান্ত তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে ২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকার বিনিয়োগ বরাদ্দ করা হবে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে PPP মডেলে সংযোগ গড়ে তোলা হবে বলে জানান নির্মলা। কিন্তু সারের ক্ষেত্রে ছাড়ের কোনও উল্লেখ নেই বাজেটে।

পশুপালন এবং মৎস্যচাষের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে জানান নির্মলা। ৬ হাজার কোটির বিনিয়োগ বরাদ্দ করা হচ্ছে। ছোট এবং মাঝারি মাপের কৃষকদের জন্য সমবায় অর্থনৈতিক মডেলের কথা ভাবছে সরকার। জাতীয় সমবায় তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হবে। যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ফসল মজুত রাখার ব্যবস্থা করা যায়। কৃষকরা যাতে বাজারে শস্য পৌঁছে দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করবে সমবায়গুলি। শস্য মজুত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের সহায়তার কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে হিমঘর নির্মাণে কোনও সহায়তার কথা নেই।

কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলেন নির্মলা। কৃষিক্ষেত্রে স্টার্টআপেও জোর দেবে সরকার। আগেই কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। কোভিডকালের পরে কৃষিক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে, সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে বছরে ১২ হাজার করা প্রয়োজন বলে মনে করা অভিজ্ঞমহল। কিন্তু এদিন তেমন কোনও ঘোষণা ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী নিজের উত্তরবঙ্গে এসে চা-শ্রমিকদের উন্নয়নে অনেক কথা বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের জন্য এবার বাজেটে কোনও উল্লেখ নেই। কর ছাড় আছে। কিন্তু সেই সুবিধা শ্রমিকদের কোনও কাজে আসবে না বলেই মত অর্থনৈতিক মহলের। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি বা অন্য কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য বাজেটে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, নতুন শিল্প স্থাপন নিয়েও কোনও উল্লেখ নেই।

spot_img

Related articles

রায়পুরে বৃষ্টি নাকি পাটা পিচে প্রচুর রান, অনুকূল আবহাওয়ায় চনমনে মেজাজে ভারত

ফের টস হারল ভারত। এই দিয়ে টানা কুড়ি বার। প্রথমে বল করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (Ind vs...

রাজ্যে ফের পারদ পতন! বুধে নিম্নমুখী তাপমাত্রা 

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আর ঘূর্ণিঝড় শীতের ইনিংসের সাময়িক বাধা দিলেও হাওয়া অফিসের (Weather Department) পূর্বাভাস মতোই বুধবার থেকে তাপমাত্রার...

দিল্লি নয়, সোনালিকে বীরভূমে ফেরানোর সুপ্রিম নির্দেশ! কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

সুপ্রিম কোর্টে সোনালি বিবি (Sonali Bibi Case in Supreme Court) মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত।সোনালি খাতুন...

আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে এক্সপেরিমেন্টের পথে গম্ভীর! 

ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের কাছে টেস্ট সিরিজের চুনকাম হওয়ার পর প্রথম একদিনের ম্যাচে (Ind vs SA) রো-কো (Rohit Sharma-...