Assam: বাল্য বিবাহে ‘জিরো ট*লারেন্স’! সাত দিনে ৪ হাজার মামলা, গ্রেফতার ১৮০০

সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, দেশের মধ্যে বাল্যবিবাহ এবং প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি অসমে। সেখানে প্রায় ৩১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সে। আর ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই অনেকেই সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। তার ফলে প্রসূতি এবং নবজাতকের মৃত্যু হার লাফিয়ে বাড়ছে।

বাল্য বিবাহের (Child Marriage) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু অসমে (Assam)। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ৪ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে ১৮০০ জনকে। কিছুদিন আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himant Biswa Sharma) ঘোষণা করেছিলেন বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার। কম বয়সী মেয়েদের যারা বিয়ে করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের জেলে যেতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, যাদের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহের অভিযোগ জমা পড়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে পকসো (POCSO) আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে বাল্য বিবাহ পুরোপুরি বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর তারা। সেইসঙ্গেই তিনি আরও জানিয়েছেন, বাল্য বিবাহ নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের শুক্রবার থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হিসাব অনুযায়ী, অসমে বাল্য বিবাহ নিয়ে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে ধুবুড়ি জেলায়। ধুবুড়ি জেলায় ৩৭০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি হোজাই জেলায় ২৫৫টি, উদলগুড়িতে ২৩৫টি, কোকরাঝাড়ে ২০৪টি, মরিগাঁও জেলায় ২২৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, দেশের মধ্যে বাল্যবিবাহ এবং প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি অসমে। সেখানে প্রায় ৩১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সে। আর ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই অনেকেই সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। তার ফলে প্রসূতি এবং নবজাতকের মৃত্যু হার লাফিয়ে বাড়ছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দেন, ১৪ বছরের কম বয়সী কাউকে বিয়ে করলে তার বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকার জন্য অধিকাংশ অভিভাবকই মেয়ের ভরনপোষণের দায়িত্ব বহন করতে অক্ষম। আর সেকারণেই নাবালিকা থাকাকালীন মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তবে বাল্যবিবাহ রোধে এমন কঠোর ব্যবস্থা ফস্কা গেঁড়ো হবে না তো, এই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

 

 

Previous articleকলেজিয়াম বিতর্ক: ধনখড় ও রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা শুনবে বম্বে হাইকোর্ট
Next articleনওশাদের কোটি কোটি টাকার উৎস ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রাকাশ্যে আনার দাবি  তৃণমূলের