কলেজিয়াম বিতর্ক: ধনখড় ও রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা শুনবে বম্বে হাইকোর্ট

কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগে সুপ্রিমকোর্ট(Supreme Court) ও কেন্দ্রের মধ্যে চলা টানাপোড়েনের মাঝেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar) এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর(Kiren Rijiju) বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানিতে সম্মত হল বম্বে হাইকোর্ট(Bombe High Court)। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হতে পারে আদালতে।

বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে দুই তরফের টানাপোড়েনের মাঝেই গত ডিসেম্বর মাসে এক আলোচনা সভায় ধনকড় মন্তব্য করেছিলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!” এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও এই ইস্যুতে বলেন, কলেজিয়ামের নিয়োগে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের যোগদান নেই। এমনকী এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। এদিকে কেন্দ্রের পক্ষের যুক্তি, দেশের শীর্ষ আদালত এবং উচ্চ আদালতগুলিতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারেরই প্রধান ভূমিকা নেওয়া উচিত। অন্য দিকে, বিচার বিভাগের বড় অংশের অভিযোগ, প্রস্তাব পাঠানো হলেও নানা কারণে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে মোদি সরকার। ফলে আদালতে তৈরি হচ্ছে শূন্যপদ, দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া।

কলেজিয়াম বিতর্ক নিয়ে চূড়ান্ত টানাপড়েনের মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করা জগদীপ ধনকড় ও কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় বম্বে হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে সম্মত হল হাইকোর্ট। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি যার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। এই ইস্যুতে আদালতের বক্তব্য কী সেদিকেই আপাতত নজর থাকবে গোটা দেশের।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছিল। বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (এনজেএসি) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশ‌্যে সংসদ এবং ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে বাতিল ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাই বহাল রাখার রায় দেয়। এরপরই শুরু হয় কেন্দ্র ও সুপ্রিমকোর্টের মধ্যে টানাপোড়েন। যার জেরেই শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ও কেন্দ্রীয় আইমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

Previous articleরাজ্যসভায় শেষের সারিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, মনমোহন সিংয়ের আসন বদল নিয়ে জল্পনা
Next articleAssam: বাল্য বিবাহে ‘জিরো ট*লারেন্স’! সাত দিনে ৪ হাজার মামলা, গ্রেফতার ১৮০০