শীর্ষনেতা রাজ পরিবারের সদস্য হলেও কেন জনগণের চাঁদায় ভোটে লড়ছে তিপ্রা মথা?

২০২১ সালের ত্রিপুরার আদিবাসী নির্বাচনে তিপ্রা মথা জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দল বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছিল। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিপ্রা মথা দলের প্রধান প্রদ্যোত দেববর্মণ। কিন্তু সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি

“ক্রাউড ফান্ডিং”য়েই নির্বাচন লড়বে তিপ্রা মথা। অথচ এই দলের শীর্ষনেতা প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মণ। যিনি ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সদস্য। নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে নয়, আমজনতার চাঁদা ও অনুদানের টাকাতেই আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে তিপ্রা মথা।
এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য তথা তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মণ। তিনি জানান, চাঁদা তুলেই তিনি ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনে লড়ার মতো প্রয়োজনীয় টাকা সংগ্রহ করবেন। এর জন্য কোন ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠাতে হবে, তার বিস্তারিত তথ্যও দিয়ে টুইট করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণ টুইট করে বলেন, “আমরা একটা ছোট দল। বর্তমানে রাজ্যে যে পরিস্থিতি, তাতে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন। কেউ যদি নির্বাচনে আমাদের তহবিলে আর্থিক অনুদান দিতে চান, তবে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠাতে পারেন।”

২০২১ সালের ত্রিপুরার আদিবাসী নির্বাচনে তিপ্রা মথা জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দল বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছিল। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিপ্রা মথা দলের প্রধান প্রদ্যোত দেববর্মণ। কিন্তু সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এরপরই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে লড়ার কথা ঘোষণা করে তিপ্রা মথা দল। ৬০টি আসনের মধ্যে ৪২টিতে লড়বে প্রদ্যোত দেববর্মণের দল। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে তলে তলে বাম-কংগ্রেস জোটকেই সমর্থন করছেন প্রদ্যোত দেববর্মণ।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, সিপিআইএমের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করতে মাঠে নেমেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। অন্যদিকে, ২০২১ সালেই ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিলের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছিল তিপ্রা মথা। এবারের বিধানসভার নির্বাচনেও তারা বেশকিছু জায়গায় নির্ণায়কের ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে পাহাড়ি ও উপজাতি এলাকায় তিপ্রার একটা প্রভাব রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

 

Previous articleসঙ্গী বিয়োগের পর দুই পুলিশ কর্মীর চারহাত এক করার অভিনব উদ্যোগ থানার
Next articleআদানি গোষ্ঠীর বিপর্যয়ে কোনও আঁচ পড়বে না এলআইসি লগ্নিকারীদের