নিবিড় জনসংযোগ: কেশপুরের পথে বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনেই পদক্ষেপ অভিষেকের

তবে শুধু শোনাই নয়, নিজের ফোনে সব নোট করেন অভিষেক। এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিনশহর গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের জমির পাট্টা না পাওয়ার কথা জানালেন তাঁকে। সেকথা শুনে সেখানে দাঁড়িয়েই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক।

যাচ্ছিলেন কেশপুরের (Keshpur) জনসভার (Rally) উদ্দেশ্যে। কিন্তু পথে যেতে যেতে থমকে যান তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সব নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছেড়ে কথা বলতে এগিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁকে দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। জানান, নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা। তবে, শুধু সমস্যা শোনাই নয় অন-দ্য-স্পট পদক্ষেপও করলেন অভিষেক। মন্ত্রীকে ফোন করে সমাস্যার সমাধানে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান অভিষেক। আনন্দে আপ্লুত জনতা করতালিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে অভিবাদন জানান।

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেশপুরে (Keshpur) জনসভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে। শনিবার, সেই সভার যাওয়ার আগেই মাঝপথে নেমে গ্রাম পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা মন দিয়ে শোনেন। তবে শুধু শোনাই নয়, নিজের ফোনে সব নোট করেন অভিষেক। এনিকেট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিনশহর গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের জমির পাট্টা না পাওয়ার কথা জানালেন তাঁকে। সেকথা শুনে সেখানে দাঁড়িয়েই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। বলেন, ”আমি জানি তোমার অপরেশন। তবু নিয়ম যা আছে দেখে, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব একটু পাট্টার ব্যবস্থা করে দাও। না হলে এঁরা আবাস যোজনার টাকাও পাচ্ছেন না। এটা অগ্রাধিকার দিয়ে দেখতে হবে”। পানীয়জল ও স্কুলের সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, নিজে এই বিষয়ে কাজ কতদূর এগোল তা খোঁজ নেবেন।

অভিষেককে এভাবে পাশে পেয়ে আপ্লুত এলাকার মানুষ। তাঁদের সমস্যা শুনেই যে তা সমাধানের চেষ্টা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শুধু করে দেবেন তা হয়ত আশাও করেননি তাঁরা। অভিষেকে এই উদ্যোগকে হাততালি নিয়ে ধন্যবাদ জানান এলাকাবাসী।

বারবার তৃণমূল নেতৃত্বকে মানুষের সঙ্গে মিশে তাঁদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে পরামর্শ দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেও সেভাবে সাধারণ মানুষের উঠোনে বসে কথা শোনেন। ব্যতিক্রম নন অভিষেকেও। এর আগেও নিহত তৃণমূলে নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁর নাবালক পুত্রকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দায়িত্ব নিয়েছিলেন মৃতের মেয়ের লেখাপড়ার। এমনকী স্যোশাল মিডিয়াতেও কোনও শিশুর অসুস্থতার কথা শুনলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

 

 

 

Previous articleকেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা খরচ করেনি রাজ্য: গুরুতর অভিযোগ স্মৃতির, পাল্টা তোপ তৃণমূলের
Next articleগোয়েন্দা কর্তার সরকারি বাংলোয় CRPF জওয়ানের রহস্যমৃ*ত্যু!