Thursday, May 22, 2025

শিশুদের উপর যৌ*ন নি*র্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষে থাকা তিন রাজ্যই “ডাবল ইঞ্জিন”!

Date:

Share post:

একদিকে যখন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) “সিঙ্গেল ইঞ্জিন” সরকার জনমুখী প্রকল্পের জন্য দেশ-বিদেশে সম্মান ও স্বীকৃতি পাচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপি(BJP) পরিচালিত “ডাবল ইঞ্জিন” রাজ্যগুলির উন্নয়ন তো দূরের কথা, আইন-শৃঙ্খলা বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।

এবার ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের উপর যৌ*ন নির্যা*তনের ঘটনায় দেশের মধ্যে শীর্ষে থাকা তিন রাজ্যই “ডাবল ইঞ্জিন”! এই রিপোর্ট দিয়েছে খোদ কেন্দ্রের মোদি সরকার(Modi Government)।

২০২১ সালে পকসো আইনে সবথেকে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ডাবল ইঞ্জিন মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ। লোকসভায় একথা স্বীকার করে নিয়েছে মোদি সরকার।

২০১৬ থেকে ২০২১ সালে অর্থাৎ মোদি জমানার ৬ বছরে গোটা দেশে পকসো আইনে মামলা নথিভুক্তির সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি হিসেব। কিন্তু উল্লিখিত সময়সীমায় প্রতি বছরই সাজাপ্রাপ্তির হার (কনভিকশন রেট) রয়ে গিয়েছে ৪০ শতাংশেরও নীচে। বিষয়টি সামগ্রিকভাবে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

লোকসভায় লিখিতভাবে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পেশ করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পকসো আইনে মামলা নথিভুক্তি, সাজাপ্রাপ্তির হারের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল সেখানে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালে উত্তরপ্রদেশে এই আইনে মোট ৭,১২৯টি কেস নথিভুক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৬,২০০ ও ৬,০৭০। মামলা বেশি দায়ের হলেও উল্লিখিত বছরে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে সাজাপ্রাপ্তির হার অত্যন্ত কম। যথাক্রমে ২৬.১ এবং ৩৩.৫ শতাংশ। ওই দু’টি রাজ্যের তুলনায় উত্তরপ্রদেশে এই হার বেশি, ৬৪.২ শতাংশ। কিন্তু তা ২০২০ সালের চেয়ে কম। সেবছর যোগীরাজ্যে পকসো আইনে সাজাপ্রাপ্তির হার ছিল ৭০.৭ শতাংশ। অর্থাৎ, মাত্র একবছরে বিজেপির ‘মডেল রাজ্যে’ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যাচ্ছে যে, ২০১৬ সালে সারা দেশে এহেন নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬,০২২টি। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয় ৪৭ হাজার ২২১। এবং ২০২১-এ ৫৩,৮৭৪। ২০২০-২০২১, এই এক বছরে যোগীরাজ্যে এমন মামলার সংখ্যা ৬,৮৯৮টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭,১২৯টিতে দাঁড়িয়েছে।

২০১৬ থেকে ২০২১—এই সময়সীমায় সাজাপ্রাপ্তির সর্বোচ্চ হার দেখা গিয়েছে ২০২০ সালে। সেটি হল মাত্র ৩৯.৬ শতাংশ। ওই বছর ৪৭,২২১টি মামলায় ৫৯,০০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও ৬,৫০০ জনের বেশি অভিযুক্তই খালাস পেয়ে গিয়েছে।

 

spot_img

Related articles

কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল উপত্যকায়, বৈঠক ওমর আবদুল্লার সঙ্গে 

পহেলগাম সন্ত্রাস হামলার পরবর্তী সময়ে কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছাল উপত্যকায়। সীমান্তবর্তী...

পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি বিশেষ নজর মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার বিভিন্ন শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। বাংলায় ফিরে এলে তাদের যাতে কোনওরকম...

শিক্ষকদের মতো আচরণ করুন! আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বললেন বিচারপতি

বিকাশ ভবনে অবস্থানকারী শিক্ষকদের মুখ পুড়ল হাইকোর্টে। বুধবার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন,...

শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা! রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন-পেনশন বিল এবার অনলাইনেই

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন, বকেয়া ও মাসিক পেনশন বিল জমার প্রক্রিয়ায় আসছে বড়সড় পরিবর্তন। এবার থেকে এইসব বিল...