গুপ্তিপাড়ার মুকুটে নয়া পালক ! গুপো সন্দেশের GI স্বীকৃতি সময়ের অপেক্ষা

বলাগড়ের নৌকাশিল্পের জিআই স্বীকৃতির জন্য আগেই সমস্ত গবেষণালব্ধ তথ্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এবার সন্দেশের স্বীকৃতি নিয়েও আশায় বুক বাঁধছেন অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শ্রেয়সা পাল, সৌমেন দেশি, সন্দেশের কারিগর বিশ্বজিৎ নাগ ও মিন্টু ব্যাপারীরা।

রসগোল্লা (Rasogolla)আগেই স্বীকৃতি পেয়েছে, এবার গুপো সন্দেশ (Gupo Sandesh)খেতাব জিততে চলেছে । শোনা যাচ্ছে গুপ্তিপাড়ার (Guptipara) গুপো সন্দেশের গবেষণাপত্র প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। নাগ পরিবার এই সন্দেশ তৈরির জন্য বিখ্যাত। হাওড়া-কাটোয়া শাখায় প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুপ্তিপাড়া, সেখানকার সন্দেশের মহিমা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। এবার জি আই (GI) স্বীকৃতি পেলে বাংলার মুকুটে যে নতুন পালক যুক্ত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বলাগড়ের নৌকাশিল্পের জিআই স্বীকৃতির জন্য আগেই সমস্ত গবেষণালব্ধ তথ্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এবার সন্দেশের স্বীকৃতি নিয়েও আশায় বুক বাঁধছেন অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শ্রেয়সা পাল, সৌমেন দেশি, সন্দেশের কারিগর বিশ্বজিৎ নাগ ও মিন্টু ব্যাপারীরা। সমিতি গঠনের কাজ আটকে থাকার জন্য কিছুটা দেরি হয়েছিল এই গবেষণাপত্র প্রকাশে। গুপ্তিপাড়ার বিখ্যাত সন্দেশের আনুমানিক বয়স ঠাওর করতে পারছেন না কেউই। শীতকালে এই সন্দেশে নতুন গুড় মিশিয়ে তার স্বাদেবদল করা হয় যেটা মিষ্টিপ্রেমী মানুষের বড্ড প্রিয়। পূর্বে বহু অনুষ্ঠানবাড়িতে এই সন্দেশ দিয়ে অতিথি অভ্যাগতদের আপ্যায়ন করা হত। সন্দেশের স্বাদে অভিনবত্ব আনার জন্য ব্যবসায়ীরা সারা বছর ধরে খেজুরের গুড় জমা করে রাখতেন। ছানা থেকে জল ছেঁকে নিয়ে সন্দেশ তৈরি করার ক্ষেত্রে গুড়ের সঠিক পরিমাণ এই মিষ্টির বিশেষত্ব বহন করে। এখন সেই মিষ্টি জি আই স্বীকৃতি কবে পাবে সেই আশায় দিন গুনছেন গুপ্তিপাড়ার মানুষ।

 

Previous articleশামি-জাডেজা- অশ্বিন ত্রয়ীর দুরন্ত বোলিং, ২৬৩ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস
Next article‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন! আদানি কাণ্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের ‘কেন্দ্রীয় শর্ত’ খারিজ সুপ্রিম কোর্টের