খুব শখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এঁকেছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি প্রামাণিক। স্বপ্ন ছিল নিজেই সেই ছবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন। কিন্তু সুযোগ হচ্ছিল না। অবশেষে বহু বাধা কাটিয়ে স্মৃতি সেই ছবি তুলেও দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। উপহার হিসেবে নিজের ছবি পাওয়ার পর খুব খুশি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সপ্তাহ কাটতেই ছাত্রীর কাছে গেল পাল্টা উপহার।
আরও পড়ুন:‘এক পথে’ বাঁধা পড়বে উত্তর থেকে দক্ষিণ: বাঁকুড়ায় বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান স্মৃতিকে। সেইসঙ্গে আঁকার খাতা, রং পেন্সিল, ফুলের স্তবক, পোশাক ও এক হাঁড়ি দইও উপহার দিয়েছেন। উপহার হাতে পাওয়ার পর আপ্লুত স্মৃতি। এতটাই খুশি যে প্রথমে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিল না স্মৃতি। তার কথায়, “দিদির পাঠানো এই জিনিসগুলি আমার জীবনে পাওয়া সবথেকে বড় উপহার।”

দ্বাদশ শ্রেণির স্মৃতির বাড়ি উলুবেড়িয়া রঘুদেবপুরে।বেলকুলাই সিকেএসি বিদ্যাপীঠের ছাত্রী সে। গত ৯ ফেব্রয়ারি পাঁচলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভাস্থল ছেড়ে যখন বেরচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তখন নিজের আঁকা পেনসিল স্কেচটি তাঁর তুলে দিয়েছিল স্মৃতি। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহার ছাত্রীর হাতে তুলে দেন সরকারি আধিকারিকরা।
সেদিনের গোটা ঘটনা নিয়ে স্মৃতিমেদুর দ্বাদশ শ্রেণির স্মৃতি। তার কথায়, “সভার আগের দিন দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ছবিটা এঁকে শেষ করি। বাঁধিয়েও ফেলি। সেই ছবি নিয়ে সভাস্থলে গিয়েছিলাম। দিদির বক্তব্য বসে বসে শুনি। তবে ওঁনার হাতে ছবি পৌঁছে দেব কীভাবে তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সভার শেষে জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছিল। তখনই বাঁশের ব্যারিকেডগুলি টপকে রাস্তার পাশে চলে যাই। সেখানে নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাকে আটকে দেন। একটু পরে ছবিটা দেখে ও দেহ তল্লাশি চালিয়ে যেতে দেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে ওঠার ঠিক আগে আমি ওঁনার হাতে ছবিটি তুলে দিয়েছিলাম।”

স্মৃতির আরও সংযোজন, “দিদি আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমাকে এত সুন্দর উপহার দিলে। কিন্তু আমার কাছে তো তোমাকে দেওয়ার জন্য কোনও উপহার নেই। তারপর মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি চাও? স্মৃতির বক্তব্য, ওনাকে বলেছিলাম আপনি আমাকে শুধু আশীর্বাদ করুন। উনি শুনে রওনা দেন। এবার আমার জন্য এত কিছু পাল্টা উপহার হিসেবে পাঠালেন। তবে ওনার আশীর্বাদই আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার। যা সঙ্গে নিয়ে আমি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে আমার। শিক্ষক হতে চাই।”