ফের স্পষ্ট বিজেপির দ্বিচারিতা, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে জোরালো সওয়াল বিজেপি বিধায়কের

বিধানসভা ভবন

ফের স্পষ্ট হয়ে গেলো বিজেপির দ্বিচারিতা। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ফের পৃথক গোর্খা ল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে জোরালো সওয়াল করলেন পদ্ম শিবিরের অন্যতম বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পেশের দিন বিধানসভায় কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নিয়ে গণভোটের দাবি জানান। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সেই গণভোট করার কথা বলেন তিনি। যার তীব্র বিরোধিতা করেছে সরকার পক্ষ।

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব আনেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মণ। সেই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর জন্য মানুষ আমাকে সমর্থন করেছেন। পাহাড়ের মানুষ কী চাইছেন, কেন চাইছেন তা জানার জন্য গণভোটের আয়োজন করা হোক। কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সাহায্য নিয়ে রাজ্য সরকার মানুষের মত জানার চেষ্টা করুক।’ অন্যদিকে এদিন পদ্মশিবিরের বিধায়কের এই দাবির তুমুল বিরধিতা করেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়,ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, তাপস রায় সাবিনা ইয়াসমিনরা। ফিরহাদ হাকিম বলেন,
ইংরাজ আমল থেকেই বাংলা কে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে। এর বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথকেও পথে নামতে হয়েছিল।বা়ংলাকে ভাগ করার জন্যই দেশকে ভাগ করলো।যার পিছনেও ছিল সেই আর এস এস। আর
১৯৮০ সালে পাহাড়কে অশান্ত করে বা়ংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করে তার পিছনে ছিল বিজেপি।শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় পাহাড়ের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন,দার্জিলিং এ নানান উপজাতি,জনজাতি আছেন। তাহলে গোর্খারাই কেন আলাদা রাজ্যের দাবিদার? তবে কংগ্রেস ও বাম আমলে উত্তরবঙ্গ যে বঞ্চিত হয়েছে সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন সেকারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের পর ক্ষমতা এসে নজর দেয় উত্তর বঙ্গের দিকে।

আরও পড়ুন: মঙ্গলে অভিষেককে নিয়ে বিশেষ প্ল্যানিং বিজেপির, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ কুণালের

দার্জিলিং এ শিল্পতালুক ঘোষনা করে ছেন।উন্নতি ঘটিয়েছে শিক্ষা স্বাস্হ্যর,
তাই আবেদন ,আবার নতুন করে রাজ্যকে ভাগ করার চেষ্টা করবেন না।আমরা বাংলা ভাগ করতে দেবো না। তাতে যদি মৃত্য বরণ করতে হয় করবো। ব্রাত্য বসু বলেন, আমাদের দেশে রাজ্য ভাগের যে মূল ভিত্তি, সেই ভাষা, ভৌগলিক অবস্থান বা আয়তন কোনোটাই উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যে যুক্তিতে গোর্খা ল্যান্ড (Gorkhaland) চাওয়া হচ্ছে তা মানতে গেলে বাংলাকে আরও বহু টুকরো করতে হবে। তাপস রায় বাংলা ভাগ নিয়ে বিজেপির দ্বিচারিতা র রাজনীতিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গ বিজেপির নেতারা যখনই ভাগিরথী নদীর ওপারে যান, তখন বঙ্গভঙ্গের দাবিকে সমর্থন করেন। আবার দক্ষিণবঙ্গে এলেই অখণ্ড বাংলার কথা বলেন। এটাই ওঁদের দ্বিচারিতার রাজনীতি।আলোচনার শেষে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব ধ্বনি ভোটে বিধানসভায় পাশ হয়ে যায়।

 

Previous articleদ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অনন্য নজির গড়লেন রোহিত, ছুঁয়ে ফেললেন ধোনি এবং বাবর আজমকে
Next article‘ভালোবাসা মানে অরিজিৎ’, ফেসবুক পোস্ট করে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ম*রণঝাঁপ সদ্যবিবাহিত যুবকের