কেন অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের প্রয়োজন? জবাব দিলেন চন্দ্রিমা

একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মিলছে না। ওই সব প্রকল্প চালিয়ে যেতে রাজ্য সরকারকে বাজেট বহির্ভূত খরচ করতে হচ্ছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বাজেট ঘাটতির। যদিও আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য সরকারের গৃহীত একাধিক পদক্ষেপে বাজেট ঘাটতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। সোমবার, বিধানসভায় চলতি আর্থিক বছরের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবি বিধানসভায় পেশ করে আর্থিক শৃঙ্খলা প্রশ্নে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন। তিনি বলেন, বাজেট (Budget) ঘাটতিতে কেন্দ্রের তুলনায় অনেক পিছনে আছে রাজ্য। অর্থমন্ত্রী জানান, তুলনামূলক পরিসংখ্যান পেশ করে তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২০ শতাংশের বেশি। এখানে তা সাত শতাংশের কাছাকাছি। ২০১১ সালের পর থেকে ক্রমান্বয়ে কমেছে বাজেট ঘাটতি।

অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেন, একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মিলছে না। ওই সব প্রকল্প চালিয়ে যেতে রাজ্য সরকারকে বাজেট বহির্ভূত খরচ করতে হচ্ছে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা আইনে শ্রমিকদের ১৫ দিনের মধ্যে পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে চলেছে। প্রকল্পে অনিয়ম হলেও দরিদ্র শ্রমিকদের তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা যায় কি না তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, সড়ক পরিকাঠামো, পরিবেশ রক্ষার কাজে বাড়তি খরচ করার জন্যেও বাজেট ঘাটতি হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন। দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত খনি প্রকল্পে পরিকঠামো নির্মাণে ২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত খরচ হওয়া সত্বেও রাজ্য সরকার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে যেখানে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯ শতাংশের বেশি তা ২২-২৩ আর্থিক বছরে কমে ৬ শতাংশের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন- “বাংলায় কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে”, গিরিরাজের মন্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বললেন কুণাল

 

 

Previous articleKolkata : ভাঙা হাড়ে কোন স্ক্রু, OT-তেই হাতাহাতি দুই ডাক্তারের !
Next articleবিশেষ শ্রমজীবী স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করবে রাজ্য: ঘোষণা মলয় ঘটকের