Thursday, November 13, 2025

BSF ক্যাম্পেই ন্যক্কারজনক ঘটনা! কমান্ডারের লা*লসার শিকার মহিলা কনস্টেবল

Date:

Share post:

বিএসএফ-এর ক্যাম্পেই ন্যক্কারজনক ঘটনা। নদিয়ার ক্যাম্পেই কৃষ্ণগঞ্জে BSF কমান্ডারের হাতে ধর্ষণের শিকার মহিলা কনস্টেবল। নির্যাতিতাকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। ভবানীপুর থানায় জিরো FIR দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত কমান্ডারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার এই নিয়ে কী বলবে গেরুয়া শিবির! যে বিএসএফের ক্যাম্পেই মহিলারা সুরক্ষিত নন, সেখানে তারা সাধারণ মানুষকে কী নিরাপত্তা দেবে!

একের পর অভিযোগে বিদ্ধ বিএসএফ। কোচবিহারে তাদের নৃশংস আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে রাজবংশী যুবকের। সেই অভিযোগের এখনও কোনও বিচার হয়নি। তার মধ্য়েই অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা এলো প্রকাশ্যে। নিজের ক্যাম্পেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লালসার শিকার বিএসএফের মহিলা কনস্টেবল। ১৮ ফেব্রুয়ারি এক মহিলা কনস্টেবলকে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার ক্যাম্পে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল তারপর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বলেন। বিএসএফের কয়েকজন আধিকারিক নির্যাতিতা নিয়ে ভবানীপুর থানায় নিয়ে যান। লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। আইপিসি 367 (2) (সি) ধারায় মামলা হয়। জিরো FIR করে কৃষ্ণগঞ্জ থানাতে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। BSF এর তরফে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করছে, অভিযুক্ত সেই কোম্পানি কমান্ডারকে সাসপেন্ড করেছে।
প্রথমে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়। সেই কারণে নদিয়ায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে নির্যাতিতা নিজেই ভবানীপুর থানায় জিরো এফআইআর দায়ের করেন। এই জিরো এফআইআর ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে যে কোনও থানায় দায়ের করা যায়। এই থেকেই স্পষ্ট, নিজের ক্যাম্প এলাকায় অভিযোগ দায়ের করার ভরসা পাননি মহিলা বিএসএফ কনস্টেবল। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত কমান্ডারকে সাসপেন্ড করে মুখ রক্ষার চেষ্টা করেছে বিএসএফ। এদিকে বিএসএফ-র পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষকে কী নিরাপত্তা দেবে তারা! তাদের ক্যাম্পে মহিলা সহকর্মীরাই তো সুরক্ষিত নন। এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ঘটনার কথা জানিয়ে তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এবার বিজেপি কী বলবে? রাজ্যের যে কোনও ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় গেরুয়া শিবির। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত অভিযুক্তরা ধরা পড়ে। মহিলাদের জন্য দেশের মধ্যে নিরাপদতম শহর কলকাতা। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন বিএসএফ ক্যাম্পেই মহিলারা সুরক্ষিত নন। মহিলা কর্মী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লালসার শিকার হচ্ছেন। সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে। এই নিন্দনীয় ঘটনায় এখন নীরব বিজেপি। তাদের এই ভূমিকা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কুণাল।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...