নাড্ডা-শাহদের ভাঁওতায় বিশ্বাস করবেন না: মেঘালয়ে পরিবর্তনের ডাক অভিষেকের

উন্নয়ন, জনমুখী একের পর এক প্রকল্প, অবহেলার অতীত কাটিয়ে আত্মসম্মান ও ‘মেঘালয়বাসীর অধিকার’ ফিরিয়ে আনা। এই বিষয়গুলিকে হাতিয়ার করে মেঘালয়ে(Meghalaya) ঘাসফুল ফোটাতে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল(TMC)। আগামী ২৭ তারিখ মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে মেঘালয়ে গারো পাহাড়ের রাজাবালা ময়দানে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। একদিকে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে রাজ্যে একের পর এক জনমুখী প্রকল্পের পাশাপাশি বিজেপি(BJP) ও এনপিপিকে(NPP) একযোগে আক্রমণ শানালেন অভিষেক।

এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতে অভিষেক বলেন, “১ বছর আগে আমরা এখানে সংগঠন শুরু করেছিলাম। বলেছিলাম শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। আর আজ যত মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা সময়ের অপেক্ষা।” একইসঙ্গে বিজেপি ও এনপিপি সরকারকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “গত ৫ বছর বিজেপি ও এনপিপি এখানে সরকার চালিয়েছে। এখন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা বলছে ৫ বছর যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ৫ বছর তো আপনারাই সরকার চালিয়েছেন। এঁদের ভাওতায় আর বিশ্বাস করবেন না। গত ৫ বছরে এখানে শুধু দুর্নীতি হয়েছে। একটাও উন্নয়ন হয়নি। ৫ বছরে মেঘালয়ে একটাও মেডিক্যাল কলেজ হয়নি এটাই ডবল ইঞ্জিনের নমুনা।” এখানেই না থেমে অভিষেক আরও বলেন, “এরা মেঘালয়ে ব্যাপক জমি দুর্নীতি করেছে। ৪৫ টাকায় জমি কিনে দালালদের মারফৎ ৮৫ টাকায় বিক্রি করেছে। প্রায় ১৫০ কোটি টাকার জমি দুর্নীতি। আপনাদের এই টাকা এরা পৌছে দিয়েছে দিল্লির মালিকদের পৌঁছে দিয়েছে। যাদের একটা খুটি পুঁতে ল্যাম্প জ্বালানোর ক্ষমতা নেই, এলাকায় জলের লাইন দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাদের সরকারে বসার যোগ্যতা নেই।” একইসঙ্গে বাংলার উদাহরণ টেনে বাংলার মতো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য আর্থিক সাহায্য, সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলার মতো মেঘালয়েও দুয়ারে সরকার চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক।

পাশাপাশি অভিষেক আরও বলেন, “এতদিন যেভাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উপেক্ষিত অবহেলিত করে রাখা হয়েছে তার জবাব এবার আপনাদের দিতে হবে। এদের শাস্তি দিতে পারবে একমাত্র তৃণমূল। তৃণমূলই এমন একটা দল যারা কোনও অন্যায় শক্তির কাছে মাথা নত করে না। আমরাই বুক চিতিয়ে লড়তে পারি। আমরাই বিজেপিকে ল্যাজেগোবরে করেছি। আমরা মেঘালয়ে এমন মুখ্যমন্ত্রী চাই যে বিজেপি এনপিপিকে সেই ভাষায় জবাব দেবে যেটা তারা বোঝে, এমন একটা দল চাই যে কারও কাছে মাথা নত করবে না। এখানকার ভূমিপুত্রই মেঘালয়ের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে, ২৭ তারিখ তার সূচনা হবে।”

Previous article‘নেতার সংযত থাকা উচিত’, নওশাদ মামলায় মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের
Next articleচাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই অশনি সংকেত! কী জানাল উইপ্রো?