বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার শিক্ষিকার (Teacher) দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে ঝগড়াঝাটির পর এদিন বেলায় নিজের বাড়ি থেকে শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার হয়। তবে বিষয়টিকে সাধারণভাবে দেখতে নারাজ প্রতিবেশীরা। ঘটনায় ইতিমধ্যে শিক্ষিকার ছেলেকে আটক করেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কোতয়ালি থানার পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কী কারণে ছেলে মাকে খুন করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল শিক্ষিকা মিষ্টি মুখোপাধ্যায় (Mishti Mukhopadhyay) এবং তাঁর স্বামী জয়ন্ত চক্রবর্তী (Jayanta Chakraborty) জলপাইগুড়ির কোতয়ালির বাবুপাড়ার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। আর তাঁদের একমাত্র ছেলে পাভেল (Pavel)। কিন্তু গত ২২ জানুয়ারি মৃত্যু হয় জয়ন্ত চক্রবর্তীর। আর তারপর থেকে বাড়িতে ছেলেকে নিয়েই থাকতেন মিষ্টি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ভোরবেলা ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর ছেলের মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাটি হয়। এরপর সকাল সাড়ে দশটা বেজে গেলেও শিক্ষিকা কিংবা তাঁর ছেলে কারও দেখাই পাননি প্রতিবেশীরা। এরপর সন্দেহ হওয়ায় বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী বাধ্য হয়ে তাঁদের ঘরের দরজা ভাঙেন। আর ঘরের ভিতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, একটি জানলার সঙ্গে গলায় দড়ি ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন শিক্ষিকা। তবে প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শিক্ষিকাকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে পাভেল। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে পাভেলকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) করা হচ্ছে।

এদিন এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। তবে খবর পাওয়ার পর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি পুলিশকর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে (Post Mortem) পাঠানো হয়।
