অন্ধকারে আলো ছড়িয়ে ছিলেন, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কুণালের আরোগ্য কামনায় মহাযজ্ঞ

স্বপ্নের ফেরিওয়ালাকে ভোলেনি শিল্পতাকুকের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচকের বাসিন্দারা। আবেগ, ভালবাসা, কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে কুণাল ঘোষের দ্রুত আরোগ্য কামনায় ব্রতী হলেন তাঁরা

স্বাধীনতার কয়েক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও হলদিয়ার মতো শিল্প নগরীর দুই গ্রামে সেদিন আগেও ছিল না বিদ্যুৎ সংযোগ। দলের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের বিশেষ দায়িত্বে থাকার সুবাদে দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। স্থানীয়দের আবদার-অনুরোধে কুণাল গ্রাম ঘুরে দেখেছিলেন। এমন ঘটনায় নিজেও চমকে উঠেছিলেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই সমাধান। বহু আইনি জটিলতা কাটিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রীর তৎপরতায় স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে আঁধার কাটিয়ে আলোয় এসেছিল হলদিয়া পুরসভার অন্তর্গত দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক ও সাওতানচকে। স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কুণাল নতুন বছরের প্রথম দিনেই অন্ধকারে ডুবে থাকা দুই গ্রামের মানুষের জীবনে আলো ছড়িয়েছিলেন। এই এলাকায় প্রায় ৫০০ পরিবারের বাস। স্বাধীনতার পর থেকে এতগুলি বছর পেরিয়ে ২০২৩ সালে এসে এই প্রথম বৈদ্যুতিক আলো জ্বলল গ্রামে।

স্বপ্নের ফেরিওয়ালাকে ভোলেনি শিল্পতাকুকের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচকের বাসিন্দারা। আবেগ, ভালবাসা, কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে কুণাল ঘোষের দ্রুত আরোগ্য কামনায় ব্রতী হলেন তাঁরা। ঈশ্বরের কাছে প্রিয় মানুষের সুস্থতা কামনা করে গোটা বিষ্ণুরামচক এদিন মহাযজ্ঞ করলেন। প্রিয় নেতা-অভিভাবক কুণাল ঘোষের বিরাট ফেস্টুন টাঙিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পুরোহিত ডেকে রীতি মেনে হল যজ্ঞ। আয়োজনে ছিলেন শেখ আতিয়ার, মোশারফ খান, জাহাঙ্গির খান, প্রবীর সিং, মেহবুব খান, সামাদ খান, বিশ্বজিৎ প্রামানিক সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাব আয়োজিত “রিপোটার্স কাপ”-এ খেলতে গিয়ে বাঁ-পায়ে গুরুতর চোট পান কুণাল ঘোষ। ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন তিনি। শুরুতে বুঝতে না পারলেও ম্যাচ শেষে যন্ত্রনা অনুভব করেন। দেরি না করে চিকিৎসকদের পরামর্শে এক্স-রে করান কুণাল। তখনই দেখা যায় চোট গুরুতর। বাঁ পায়ের ফিবুলা ভেঙে গিয়েছে। বসাতে হবে প্লেট। করতে হবে অস্ত্রোপচার। তারই মাঝে অবশ্য ভাঙা পা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে পূর্ব নির্ধারিত দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের মুহূর্তেও একটি টেলিভিশন চ্যানেলে রাজনৈতিক বিতর্কের আসরেও তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ।

আজ, বুধবার সকালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়।অস্ত্রোপচার সফল। পায়ে প্লেট বসার পর অপারেশন টেবিলে শোওয়া ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিজেই সে খবর জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আপাতত কয়েকটা দিন তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে হাসপাতালেই।

এদিন সফল অস্ত্রোপচার পর বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক ও শুভানুধ্যায়ীদের। তাঁর কথায়, “ভাঙা পায়ে প্লেট বসেছে। ডাঃ সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপারেশন টেবিলের সকলকে ধন্যবাদ। সুন্দর পরিবেশ। ধন্যবাদ ডাঃ পার্থ সেন, ডাঃ পার্থসারথী সরকার, ডাঃ শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে। ধন্যবাদ শ্রীমান স্নেহাশিস। অশোক মজুমদার, তন্ময় নন্দী, অয়ন চক্রবর্তী-সহ সকালে যাঁরা এসেছিলেন, বা দূর থেকেও যাঁরা শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন , তাঁদেরও আন্তরিক ধন্যবাদ। আপাতত ওটি থেকে বেডে।” এখন কয়েকটা দিন হাসপাতালেই, সুস্থ হয়ে ফের কাজে ফেরার অপেক্ষায় কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন কুণালের ভক্ত ও অনুগামীরা।

 

 

 

Previous articleকলকাতায় এখনই বন্ধ হচ্ছে না হু*ক্কা বা*র, পুরসভার আবেদন নাকচ হাইকোর্টে
Next articleপ্রয়াত ১৩ গোলের রেকর্ডধারী কিংবদন্তী জাঁ ফঁতে