বাড়ছে অ্যাডি*নোভাই*রাস আত*ঙ্ক, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃ*ত্যু এক শিশুর

রাজ্য জুড়ে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শিশুদের মৃত্যুর নেপথ্যে অ্যাডিনোভাইরাস দায়ী, না অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হচ্ছে তা-ও খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। যদিও কলকাতায় শিশুমৃত্যু নিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য দাবি করেছেন,  অধিকাংশ শিশুর মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। আবার অনেক শিশুর ভাইরাল জ্বরের কারণেও মৃত্যু হয়েছে।

এই পরিস্থিতেতে বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হুগলির এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১ বছর ৩ মাস বয়সি মৃতার নাম শ্রেয়া পাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুটিকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তার শরীরে অ্যাডিনোর রয়েছে কি না তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় ওই শিশুর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় শিশুটির দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর।

জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে  উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে তিন জন, কলকাতা মেডিক্যালে তিন জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

কলকাতা ছাড়াও বাঁকুড়া জেলাতেও বেড়েছে অ্যাডিনোর আতঙ্ক। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ-সহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে দু’জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন কর্তৃপক্ষ।

জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়ে গত এক সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে পেডিয়াট্রিক বিভাগে ১৪১ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। যাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তবে ওই দুই শিশু অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

 

Previous articleফের মহানগরে টাকার পাহাড়! ট্যাংরায় জালে প্র*তারক
Next articleবিরোধীদের দাবিকে গুরুত্ব, আদানি কাণ্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন শীর্ষ আদালতের