নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উচ্চপদে নিয়োগ আরও স্বচ্ছভাবে নিয়োগ প্রয়োজন। আর সেই নিয়েই এবার ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India)। এবার থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) এবং অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও একাধিপত্য থাকবে না কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister), লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Opponent Leaders) এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটির সিদ্ধান্ত মতোই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ (Judiciary Bench) এমন নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যতদিন না নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সংসদে কোনও আইন তৈরি হচ্ছে, ততদিন এই পদ্ধতি বজায় থাকবে। আর শীর্ষ আদালতের এমন রায়ে খুশি বিরোধীরা। তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কমবে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek Obrien)। তিনি জানিয়েছেন, এই রায়ের ফলে নির্বাচন কমিশন ফের আগের মতো নিরপেক্ষ হবে।

HUGE
So Extremely Compromised (EC) can again strive to become Extremely Competent (EC)
(Reaction to historic Supreme Court direction for appointment of election commissioners)
VIDEO
More on #instagram: https://t.co/xM4kJ9oRAA pic.twitter.com/tevOO13iwX
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) March 2, 2023
বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কে এম জোসেফের (Justice MK Joseph) নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনারদের স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার প্রধান বিরোধী দল এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গড়তে হবে। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। যদি কখনও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদে কেউ না থাকেন, তাহলে বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকেই এই কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে। পাশাপাশি সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়েছে, নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত এবং নির্বাচন কমিশনকেই সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে তার ফল ধ্বংসাত্মক হতে পারে।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত আধিকারিকদের নিয়োগের ক্ষমতা ছিল রাষ্ট্রপতির (President of India) হাতেই। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ মেনেই সেই নিয়োগ করা হত। সাধারণত প্রাক্তন আমলাদের এই পদে নিয়োগ করা হয়। তবে মোদি সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনারদের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। আর এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও কলেজিয়াম (Collegium) চালুর দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতেই ‘ঐতিহাসিক’ রায় দিল শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
