প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

চলে গেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিকমহলে জলুবাবু বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। আজ, শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জের বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। জলুবাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন:টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদক গ্রেফতার

পেশায় আইনজীবী ছিলেন সত্যব্রত। আইনজীবী হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলার বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে বসেছিলেন। ২০০৯ সালে তাঁকে সরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন রাহুল সিংহ। অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

১৯৩২ সালের ৮ মে সিলেট (এখন বাংলাদেশ)-এ জন্ম হয়েছিল সত্যব্রতের। সেখান থেকে চলে আসেন নদিয়ার কালীগঞ্জের পাগলাচণ্ডী গ্রামে। বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান সত্যব্রত পরিবারের অগ্রজদের মতো বেছে নেন আইনি পেশা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন সত্যব্রত। পরে রাজনীতিতে যোগ দেন।

১৯৯৯ সালের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন সত্যব্রত। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে প্রবীণ এই বিজেপি নেতাকে হারিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমূল প্রার্থী তাপস পাল।

প্রবীণ নেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন নদিয়া জেলা তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস । বলেন, ‘‘জলুদার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও ওঁর স্নেহ থেকে কখনও বঞ্চিত হইনি। নদিয়া এক রাজনৈতিক অভিভাবক হারাল।’’ সিপিএমের নদিয়া জেলার সম্পাদক সুমিত দে বলেন, ‘‘রাজনৈতিকভাবে তাঁর মতাদর্শের বিরোধিতা করেছি। কিন্তু ব্যক্তি সত্যব্রত সবার কাছেই প্রিয় ছিলেন।’’

 

 

Previous articleগ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
Next article‘রহস্য*ময়ী নারী’ হৈমন্তী যা বলছেন বাস্তবের সঙ্গে বিস্তর ফারাক !