গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদে কাউন্সেলিংয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল ঋষিকেশ রায় ও সঞ্জয় করলের সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।একই সঙ্গে মামলায় সিবিআইকে পার্টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চের শেষ সপ্তাহে অথবা এপ্রিলের প্রথমে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, চাকরি বাতিল ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যান এসএসসি’র বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা । ওএমআর শিট দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ না দেওয়ায়, শীর্ষ আদালতে আবদন করেন চাকরিহারারা।
২০১৬’র উত্তরপত্র দুর্নীতির মামলায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি, এসএসসি-র ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ ছিল, অবিলম্বে এই অযোগ্য প্রার্থীদের বেতন বন্ধ করতে হবে। আর স্কুলেও ঢুকতে পারবেন না তাঁরা। ফেরত দিতে হবে এতদিন বেতন বাবদ পাওয়া টাকা। চাকরি খোয়ানো গ্রুপ ডি কর্মীদের জায়গায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো ১ ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী।তাদের আবেদনের ভিত্তিতে সিঙ্গল বেঞ্চের বেতন ফেরানোর নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এর ফলে চাকরি হারানো ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে এখনই বেতনের টাকা ফেরাতে হচ্ছে না। যদিও, সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে ওই ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল রয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন SSC’র বরখাস্ত হওয়া ওই গ্রুপ ডি কর্মীরা।
শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য়। তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ করছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল কেন্দ্রীয় সরকারের পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ! গ্রুপ ডি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে রেল কর্তৃপক্ষকে তলব করল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্য়ুনাল।