‘রহস্য*ময়ী নারী’ হৈমন্তী যা বলছেন বাস্তবের সঙ্গে বিস্তর ফারাক !

শেষ পর্যন্ত খোঁজ মিলল ‘রহস্যময়ী নারী’, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি দাবি করলেন, আমি কোনও ভাবেই এই সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। জানি না, কী ভাবে দুর্নীতি হয়। কোনও ধারণাই নেই।

হৈমন্তী যা বলছেন তা কি সত্যি? তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
প্রথম ধৃত কুন্তল ঘোষ বলেছিলেন, “খোঁজ নিন। কোন রহস্যময়ীর কাছে টাকা আছে।” তার পরেই হৈমন্তীর নাম উল্লেখ করেন। জানা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী। তাঁর হাওড়ার বাড়ির সামনে ভিড় জমে। তাঁর মা জানান, মেয়ে এ সবের সঙ্গে জড়িত নন। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগও নেই।

আদতে হৈমন্তী যা বলছেন, তার সঙ্গে কুন্তলের বক্তব্যের কোনও মিলই নেই ! হৈমন্তী বলেন, “আমি সময়মতো সব বলব।” তাঁর অভিযোগ, “কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি চিনিই না।” কিন্তু, গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর জবাব, “চিনি মানে? ২০১২-তে আমাদের বিয়ে হয়। এখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।”
হৈমন্তীর দাবি, “আমি সিনেমার জগত নিয়ে থাকি। গোপালবাবুর সঙ্গে যখন থাকতাম, তখনও সিনেমার জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। উনি কাজ করতেন জানতাম। তবে, তাঁর কাজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। উল্টে আমার কাজ নিয়ে দু’জনেরআলোচনা হত।
গোপালের সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্ট নিয়ে হৈমন্তীর দাবি, “কখনও এমন অ্যাকাউন্ট ছিল না। আমি স্বাধীন। নিজের মতো কাজ করতাম, নিজের মতো চালাতাম। আমার সঙ্গে গোপালবাবুর অর্থের লেনদেন ছিল না। আমি ছোট থেকে লড়াই করেছি। কখনও কারও সাহায্য নিইনি।” গোপালের মুখে কখনও কুন্তলের নাম শোনেননি বলে দাবি করেন হৈমন্তী।
তিনি বলেন, “বিশ্বাস করুন। আমি অসুস্থ ছিলাম। কলকাতার বাইরে ছিলাম। এখনও কলকাতার বাইরে। বাইরে বসে প্রথম যখন শুনি এ ভাবে দুর্নীতিতে আমার নাম জড়ানো হয়েছে, আমার এতটাই শক লেগেছিল যে নার্ভ ফেল করে যায়। যে কারণে বাড়িতেও যোগাযোগ করতে পারিনি। দেখবেন মিডিয়া যখন বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করেছে, মা-ও বলেছে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না।
হৈমন্তীর দাবি, এখন তিনি অনেকটা সামলে উঠেছেন। তাঁর কথায়, এখন নিজেকে বুঝিয়ে অনেকটা শক্ত করেছি। জানি, আমার মুখ খোলা দরকার। কিন্তু, কথা বলার অবস্থায় না থাকলে বলব কী করে? বাড়িতেই বা কী বলতাম?

তাঁর অভিযোগ,আমার বাবা খুব সাধারণ অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। এখন আপনাদের জ্বালায় বাড়ি থেকে দোকানে পর্যন্ত যেতে পারছেন না।কী করবেন এখন হৈমন্তী? তার উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে সময়ের দিকে তাকিয়ে।

 

Previous articleপ্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়
Next articleরাজধানীতে হাজিরা এড়াতে কলকাতা-দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন অনুব্রতর, ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ