খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের প্রভাব কতটা প্রাসঙ্গিক

বাণিজ্য বা ইন্ডাস্ট্রির কাছে পৃষ্ঠপোষকতার প্রশ্ন তুললে সেক্ষেত্রে ক্রীড়ার পরিধি কতটা প্রাসঙ্গিক তা বিবেচ্য বিষয়।

খেলায় ব্যবসায় বিনিয়োগের স্থান নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল। উপস্থিত ছিলেন বডি লাইন স্পোর্টস এবং ফিট এক্সপো ইন্ডিয়া-এর ডিরেক্টর গগন সাজদেব, ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ দত্ত, আদিত্য বিরলা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান অঙ্কিত আদিত্য, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের বিশিষ্ট সদস্য শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত, অঙ্কন ব্যানার্জি, হিমিকা চৌধুরী, গৌতম ভট্টাচার্য প্রমুখ।

ভারতবর্ষে খেলা মানেই ক্রিকেট, ফুটবল কিন্তু তার সাথে অন্যান্য খেলা গুলোর ভবিষ্যৎ কোন পথে এবং সেখানে দেশের বাণিজ্যের ভূমিকা কতটা সেটিই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। বাণিজ্য বা ইন্ডাস্ট্রির কাছে পৃষ্ঠপোষকতার প্রশ্ন তুললে সেক্ষেত্রে ক্রীড়ার পরিধি কতটা প্রাসঙ্গিক তা বিবেচ্য বিষয়। বাণিজ্য-এর শেষ কথা লাভ  বা আয়।

ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ক্রীড়ায় বিনিয়োগে লাভের শতকরা হার প্রবল ঊর্ধ্বমুখী নয়, ফলে খেলায় বাণিজ্যের বিনিয়োগ-এর হার কমছে। কিন্তু খেলার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে গেলে অর্থনৈতিকভাবে তার শক্ত পরিকাঠামো গড়াটা ভীষণ প্রয়োজন আর এই পরিকাঠামো সরবরাহ করতে বিশেষ উদ্যোগে এই আলোচনার সভা।
খেলা নিয়ে উন্মাদনা রয়েছেই সারা ভারতবাসীর, তবে বর্তমানে খেলার অর্থ যেন আবহাওয়া বদলেছে। বাণিজ্যে লাভের জন্য খেলায় যুক্ত হয়েছে বিনোদন । এটির অন্যত্র একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বাণিজ্যে বিনিয়োগের ফলে বহু ক্রীড়াবিদরা তাদের ভবিষ্যৎ গড়েছে, নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিষ্টিত হতে পারছে।

বলা যেতে পারে,  ক্রীড়াবিদ নিজেই ইন্ডাস্ট্রি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেমন বিরাট কোহলি – ‘সিঙ্গেল ম্যান ইন্ডাস্ট্রি’। ফলে এই আলোচনার তাৎপর্য দ্বিপাক্ষিক।

আবার অন্যদিকে ‘খেলার ওপর খেলা’- বিভিন্ন গেমিং অ্যাপ-এর মাধ্যমে অর্থলগ্নি করে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়- খেলায় বাণিজ্য নাকি বাণিজ্যে খেলা- কে কাকে গড়ছে?

 

Previous articleইস্টবেঙ্গলের পাঠানো তালিকা নিয়ে বিবৃতি ইমামির, বোর্ড মিটিং নিয়ে মুখ খুললেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা
Next articleখু*নের চক্রান্ত হচ্ছে! নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ইমরানের