কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র(DA) দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা(Government employees)। আর এই আন্দোলনে পেছন থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সোমবার এই ইস্যুতে বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্য ও কেন্দ্রের বেতন কাঠামো, ছুটির তফাত তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি জানালেন, “৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলে রাজ্যে মোট ১০৫ শতাংশ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবদিক নজর রেখেই আমাদের পরিকল্পনা করতে হয়। কেন্দ্রে যারা চাকরি করে তাদের সঙ্গে রাজ্যে যারা চাকরি করে তাদের পে স্কেল আলাদা। আমাদের সেই পে স্কেলের উপর নির্ভর করেই পরিকল্পনা করতে হয়।
সিপিএম এর আমলে সব ডিএ পেন্ডিং ছিলো। আমরা ৯৯ শতাংশ ও আরও ৬ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি। অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি।” একই সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “একাধিক রাজ্য পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা পেনশন যদি বন্ধ করে দিই তাহলে আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। তাহলে আমরা ঋণের বোঝা অনেকটা কমাতে পারতাম। আমি বিরোধী দলের কাছে জানতে চাইছি আপনারাই বলুন পেনশন কি আমরা বন্ধ করে দেবো ?”
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বিধানসভায় জানান, ত্রিপুরা ও উত্তর প্রদেশ ডিএ দেয় না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘টাকা আকাশ থেকে পড়বে না। ডিএ বাবদ ১ লক্ষ ৭৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কেন্দ্রের হাতে রিজার্ভ ব্যাংক রয়েছে আমাদের হাতে কি কোনো রিজার্ভ ব্যাংক রয়েছে?’’ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আর কী কী সুবিধা পান তা উল্লেখ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দশ বছরে একবার সরকারি কর্মচারীদের শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, তাইল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ দিয়েছি।’’ এরপরই স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানান, ‘কত চাই, কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন ? দয়া করে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আমার মুন্ডুটা কেটে নিন কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।’
