রাত পোহালেই দোল। আর সেই রঙিন উৎসবের দিনে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির আদালতে হাজির করানোর জন্য আসানসোল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। স্বাভাবিকভাবে পুরো যাত্রাপথে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আসানসোল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সশস্ত্র পুলিশের পাশাপাশি সঙ্গে থাকবেন চিকিৎসকও। থাকবে অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ চিকিৎসা সামগ্রীরও বন্দোবস্ত।
এক নজরে দেখে নিন অনুব্রতর নিরাপত্তা
১) আসানসোল থেকে কলকাতা পর্যন্ত পুলিশের ১ জন ইন্সপেক্টর
২) থাকবেন ৩ জন সাব-ইন্সপেক্টর।
৩) ওই পুলিশ আধিকারিকরা-সহ থাকছেন ১২ জনের সশস্ত্র বাহিনী
৪) কলকাতা পুলিশেরও একই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা থাকবেন ।
আসানসোল থেকে কী কী থাকবে অনুব্রতর কনভয়ে?
১) কনভয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে থাকছে ১টি গাড়ি এবং ২টি পাইলট কার।
২) কনভয়ে অ্যাম্বুল্যান্সও থাকবে ১টি।
৩) থাকবেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং তাঁর এক সহযোগী।
৪) সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রীরও বন্দোবস্ত রাখা হবে।
জানা গিয়েছে, আসানসোল থেকে সকাল ৬টার সময় বার করা হবে অনুব্রতের এই ‘কনভয়’। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তার বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
আসানসোল থেকে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালে অনুব্রতর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হবে। তারপর তাঁকে দিল্লির আদালতে হাজির করানোর কথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকদের।
ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পর সেখান থেকেই চিকিৎসক এবং তাঁর সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাবে ইডি। এর পর তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্ত শুরু চালাতে চায় ইডি।
ইডির করা মামলায় অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন-সহ এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এনামুল হক দিল্লির তিহাডর জেলে রয়েছেন। সেখানে এঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি।