আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা: পরিদর্শনের পরে মত শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

রঙের উৎসবের মাঝেও বিষাদের সুর! প্রতিদিনই রাজ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা শিরোনামে উঠে আসছে। কেন প্রাণ যাচ্ছে খুদেদের,পরিষেবা না পেয়েই কী মায়ের কোল খালি হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমত কাজ কতটা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?  তা খতিয়ে দেখতে বুধবার সকালেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিসি রায় হাসপাতালে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়্যারপার্সন সুদেষ্ণা রায় এবং অন্যনা চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন:নারী দিবসে আবির খেলায় তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড

‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়্যারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন,”হাসপাতালগুলোর পরিষেবা দেখে আমরা সন্তুষ্ট। শিশুদের চিকিৎসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যেহেতু জ্বর,সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ শিশুদের সংখ্যা হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে, সেকারণে  কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ও বিসি রায় হাসপাতালে নতুন করে শিশুদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি স্পেশাল ফিভার ক্লিনিকও খোলা হয়েছে।”

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতালে ৩ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ প্রশ্নের উত্তরে সুদেষ্ণা রায় বলেন, সকলেই যে অ্যাডিনোভাইরাসে মারা যাচ্ছে তা নয়। অনেক শিশুর শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ মিললেও তা সারিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে সেরে উঠতে একটু সময় লাগছে। নিউমোনিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের কারণেও শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮ থেকে ১০ জন শিশুর।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে  যে দুই শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তাদের মধ্যে একজন হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও অপরজন হুগলির মগরার বাসিন্দা। হাওড়ার শিশুকে উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। গতকাল সন্ধে ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয় তার। মগরার শিশু প্রথমে ভর্তি ছিল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি ছিল শিশুটি। মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় তার।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাশাপাশি বি সি রায় হাসপাতালেও শিশুমৃত্যু যেন রোখা যাচ্ছে না। এদিন প্রাণ হারায় বনগাঁর বাসিন্দা বছরখানেকের এক শিশু।

মৃত তিন শিশু জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিল। সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্টও। পরিবারের দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল তারা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

Previous articleমুম্বই উপকূলে জরুরি অবতরণ করল ভারতীয় নৌবাহিনীর চপার !
Next articleঅবশেষে ‘স্বস্তি’! হাজ*তবাস থেকে ‘রেহাই’ পেলেন ইমরান