চাঁদের আলোয় দুটি পাতা একটি কুঁড়ি! ডুয়ার্সের পর্যটনে ‘মুনলিট টি প্ল্যাকিং’

ডুয়ার্সের চা বাগানে চা গাছের সবুজ গালিচা দেখে দৃষ্টিসুখ পায়নি এমন পর্যটক ও মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ডুয়ার্সের চা বাগানের সবুজ স্নিগ্ধতা সকলের মন ছুঁয়ে যায়। জঙ্গলের পাশাপাশি চা বাগানও পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের।

চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। ডুয়ার্সের (Duars) অপূর্ব ভূপ্রকৃতি আর চা বাগান (Tea Garden)। পূর্ণিমা রাতে তোলা হচ্ছে চা পাতা। তাই থেকে তৈরি মুনলিট টি (Moonlit Tea)। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশ-বিদেশের বাজারে জনপ্রিয় হয়েছে এই সোনালি রঙা চা। তবে এই চা পাতা তোলার দৃশ্যও নয়নাভিরাম। সেই কারণে ডুয়ার্সের পর্যটনে (Tourism) এবার যোগ হতে চলেছে মুনলিট টি প্ল্যাকিং।

 

ডুয়ার্সের চা বাগানে চা গাছের সবুজ গালিচা দেখে দৃষ্টিসুখ পায়নি এমন পর্যটক ও মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ডুয়ার্সের চা বাগানের সবুজ স্নিগ্ধতা সকলের মন ছুঁয়ে যায়। জঙ্গলের পাশাপাশি চা বাগানও পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের। এবার চা প্রেমীদের হৃদয় ছুঁতে ডুয়ার্সের মাঝের ডাবরি চা বাগানে তৈরি হল মুনলিট টি প্ল্যাকিং। এক বিশেষ সুগন্ধ ও স্বাদ নিয়ে ফের একবার বাজার মাতাতে আসছে ‘মুনলিট টি’। দোল পূর্ণিমার রাতে, পূর্ণ চাঁদের রুপোলি আলোয় দুটি পাতা একটি কুঁড়ি সংগ্রহের করে তৈরি হচ্ছে এই মুনলিট টি। ডুয়ার্সে এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর ওই ধরনের চা পাতা তোলার কাজ শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। যার পোশাকি নাম ‘মুন লিট টি প্লাকিং’। তাদের নিজেদের কারখানায় ওই বিশেষ দিনে তোলা কাঁচা চা পাতা দিয়ে যে চা তৈরি হবে, চায়ের বাজারে তার নাম হবে ‘মুনলিট টি’। এই পুরো প্রক্রিয়া উপভোগ করতে হাজির ছিল বহু পর্যটক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণ চাঁদের আলোয় তোলা চা পাতায় এক অদ্ভুত ধরনের অ্যারোমা তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপায়েই। কারখানায় প্রস্তুতির পর ওই অ্যারোমা এক অন্নন্য মাত্রা এনে দেয় চায়ে। এখন থেকে বছরের প্রতি পূর্ণিমার রাতে কাঁচা চা পাতা তুলে তা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই চা বাগান।তবে সাধারণ যে কোনো চায়ের থেকে মুনলিট টির দাম অনেকটাই বেশি। মঙ্গলবার ভরা দোল পূর্ণিমার রাতে রুপালি আলো গায়ে মেখে পরম উৎসাহে ওই অভিনব চায়ের উৎসবে সামিল হয়েছিলেন ওই চা বাগানের শ্রমিকরা। চাঁদের আলোর পাশাপাশি পাতা তুলতে ও বন্য জন্তুদের হাত থেকে বাঁচতে জ্বলন্ত মশালও ছিল চা শ্রমিকদের সঙ্গে। তারই সঙ্গে শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ টর্চ। তাতে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতাও অনেকটাই বেড়ে যায়। দোলের রাতে মশালের আলো, বসন্ত উৎসবের রঙ, পূর্ণ চাঁদের রুপালি আলো, আর চা পাতার সবুজ মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে চা বাগানে। আর সেই মায়াবি পরিবেশকে পর্যটকদের জন্য আরো মোহময়ী করে তুলেছে মাদলের তালে আদিবাসী রমনীদের নৃত্য। এই চায়ের হাত ধরে আগামীদিনে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মাঝের ডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানান, ডুয়ার্সে শুধু আমরাই এই মুনলিট টি প্ল্যাকিং করেছি। যদি অন্যান্য চা বাগানগুলো এগিয়ে আসে তবে চায়ের উৎপাদনের পাশাপাশি চা নির্ভর পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

 

Previous articleরাজভবনে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী ৪০ মিনিট বৈঠক, কী নিয়ে কথা!
Next articleসেমিফাইনালের প্রথম পর্বে হায়দরাবাদের সঙ্গে গোলশূন‍্য ড্র মোহনবাগানের