Thursday, August 28, 2025

জায়গার নামে প্রকল্পে কেন্দ্রের গায়ে জ্বালা কেন! মোদি সরকারকে তুলোধনা অভিষেকের

Date:

৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্য। অর্থাৎ পুরো টাকা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ রাজ্যের নামে প্রকল্পের নাম দিলে গায়ে জ্বালা হয় মোদি সরকারের। শনিবার, চড়িয়ালের সেতু উদ্বোধনে গিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তিনি বলেন, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে প্রকল্প হয় না; হয় বাংলার নামে, জায়গার নামে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে প্রকল্প করে জাহির করতে চান।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “এক মাত্র বাংলা যার টাকা বন্ধ। বাংলার আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) ওদের কাঁচকলা দেখিয়ে বলেছেন তোমাদের টাকার আমার দরকার নেই। যত দিন আমি আছি, বাংলার নামেই প্রকল্প হবে। বাংলার মানুষের জন্য কাজ হবেই। তাই এ বার বিধনাসভায় রাজ্য জানিয়েছে ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কাজ শুরু হতে চলেছে আগামী দিনে।’’ অভিষেকের অভিযোগ, “১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। এখনও তা রাজ্যকে দেয়নি। ১৭ লক্ষ পরিবার একশো দিনের কাজ করে বসে রয়েছে। তাদের টাকা দেয়নি।’’ অভিষেক জানান, আবাস যোজনার তালিকায় কোনও ত্রুটি পায়নি কেন্দ্র। তাও আটকে রেখেছে টাকা। এরপরেই ডায়মন্ড হারবারে সাংসদ বলেন, এই সেতুর নাম হয়েছে চড়িয়াল সেতু। এর নাম ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেতু’ হয়নি, ‘ডায়মন্ডহারবার এমপি’ সেতু হয়নি। জায়গার নামে নামকরণটাই দস্তুর, প্রথা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেটাই পালন করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় নিজের নাম দিতে ব্যস্ত।

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, “এখানে পঞ্চায়েতে তো বিজেপি নেই। এখন আমি যদি বিজেপি কর্মীদের টাকা আটকে দিই? এটা তো কোনও সংস্কৃতি নয়। আমরা করিও না। বিজেপির (BJP) লোকেদেরও যদি রাস্তার সমস্যা হয়, জলের সমস্যা হয়, বাড়ির অসুবিধা হয়, জাতি শংসাপত্রের দরকার হয়, তা হলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে ফোন করুন। আমি এক ডাকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে দেব। এটাই ডায়মন্ড হারবার মডেল।”

আরও পড়ুন- “শিশিরবাবু কোন দলে?”, প্রশ্ন শুনেই মন্ত্রীকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version