মাথার ভেতর যমজ ভ্রূণ ! বিরল ঘটনার সাক্ষী চিনের চিকিৎসকেরা

গবেষণা অনুসারে, এই ঘটনাকে মেডিকেল পরিভাষায় বলা হয় ভ্রূণ-ইন-ভ্রূণ। যখন জীবিত যমজের দেহের অভ্যন্তরে একটি ভ্রূণের অনুরূপ টিস্যুর একটি ভর বৃদ্ধি পায় তখন বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করে।

এক বছরের শিশু কন্যার মাথার গঠন অন্যান্যদের থেকে বড়। প্রাথমিকভাবে একটু খটকা লেগেছিল মা বাবার। চোখে বা কানে কোন সমস্যা হচ্ছে না তো, চিন্তায় পড়ে গেছিলেন বাড়ির বাকিরাও। কিন্তু এক বছরের শিশুর পক্ষে নিজে এত কিছু বোঝা সম্ভব নয় তাই চিকিৎসকের পরামর্শ (Doctor’s Consultation) নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মা-বাবা। আর সেখানে যা ঘটল তাতে কার্যত অবাক গোটা বিশ্ব। এক বছরের শিশু কন্যার মাথার ভেতরে মিলল যমজ ভ্রূণ (Twin fetuses), বিজ্ঞানীরা যাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘অজাত যমজ'( unborn twin)বলে। চিনের চিকিৎসকদের এই অভিজ্ঞতা নিউরোলজি জার্নালে (Neurology journal) বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন এক বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে এসে তাঁর মা-বাবা জানান যে বাচ্চাটির মোটর দক্ষতায় কোনও একটা সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি মাথার সাইজ অন্য বাচ্চাদের তুলনায় বেশ খানিকটা বড়। সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের তড়িঘড়ি ব্রেন স্ক্যান করা হয়। আর সেই রিপোর্ট দেখে রীতিমতো অবাক চিকিৎসক তথা গবেষকরা। তাঁরা বলছেন ভ্রূণের জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) পদ্ধতি ব্যবহার করে নবজাতকের যমজ শনাক্ত করা হয়েছিল। অজাত যমজ ভ্রূণের উপরের অঙ্গ, হাড় এবং আঙুলের মতো কুঁড়ি বেড়েছে। কিন্তু এও কি সম্ভব? গবেষণা অনুসারে, এই ঘটনাকে মেডিকেল পরিভাষায় বলা হয় ভ্রূণ-ইন-ভ্রূণ। যখন জীবিত যমজের দেহের অভ্যন্তরে একটি ভ্রূণের অনুরূপ টিস্যুর একটি ভর বৃদ্ধি পায় তখন বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করে। এই ধরনের ঘটনা বিশ্বে খুব কমই দেখা যায় । গবেষকরা বলছেন প্রায় ১০ লাখ শিশুর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রেই ঘটে।

প্রসঙ্গত গত বছরের নভেম্বরে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে চিকিৎসকেরা ২১ দিনের নবজাতকের পেট থেকে আটটি ভ্রূণ অপসারণ করেছিলেন। এবার চিনের এই শিশু কন্যার ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক মহলে।

 

Previous articleরোজকার কাজের দিনের ছবি, DA-এর দাবিতে ধর্মঘটের কোনও প্রভাব নেই রাজ্যে
Next articleরাহুলের পাশেই দল! উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়কে ‘চিয়ারলিডার’ কটাক্ষ কংগ্রেসের